জাতীয়

এ কে খন্দকারের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জাতির গর্বিত কৃতী সন্তান এবং সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান প্রয়াত এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম (এ কে) খন্দকার বীর উত্তমের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানায়, বাদ আসর ঢাকায় বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশারের ফ্যালকন হলে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

মাহফিলে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, এ কে খন্দকারের পরিবারের সদস্য, বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এ কে খন্দকারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, শান্তি এবং জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করা হয়।

পোস্টে আইএসপিআর লিখেছে, এ কে খন্দকার বীর উত্তম, পিএসএ শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতাও; যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠোর মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয়সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন এবং তার যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। 

পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে  ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। এ ছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, বীর উত্তমকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তার অনন্য সাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’ এ ভূষিত করে।