রাজনীতি

তারেক রহমানের অভ্যর্থনাস্থলে নেতাকর্মীদের ঢল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। 

নির্ধারিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত থেকেই সমাবেশস্থল- রাজধানীর ৩০০ ফিট-এ বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরো ঘনীভূত হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকা মহানগর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা আগেভাগেই অভ্যর্থনাস্থলে অবস্থান নেন। অনেকেই দলীয় পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হন। 

রাত থেকেই স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। ‘তারেক রহমান আসছে’; ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’—এমন নানা স্লোগানে রাতভর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে রাতের ভিড় সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। কোথাও যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সে বিষয়ে তারা সতর্ক ভূমিকা রাখেন। বহু নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান।

এ বিষয়ে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন শুধু একজন নেতার দেশে ফেরা নয়, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক। তাই নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাত থেকেই এখানে জড়ো হয়েছেন। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে।”

অভ্যর্থনাস্থলে আসা এক যুবদল কর্মী বলেন, “আমরা অনেক বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছি। নেতাকে এক নজর দেখতে পারলেই সব কষ্ট সার্থক হবে।” একই কথা বলেন এক প্রবীণ বিএনপি সমর্থক। তিনি বলেন, “তারেক রহমান ফিরে আসছেন, এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ।”

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও এলাকায় সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

সব মিলিয়ে তারেক রহমানের অভ্যর্থনাকে ঘিরে রাজধানীতে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। রাত থেকেই জমে ওঠা এই ভিড় প্রমাণ করে- দীর্ঘ প্রবাসের অবসান শেষে তার প্রত্যাবর্তন বিএনপি ও তার সমর্থকদের কাছে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।