খেলাধুলা

মেসি-মার্টিনেজদের ছাপিয়ে এক দশক পর বর্ষসেরা ডি মারিয়া

বয়সটা স্রেফ একটা সংখ্যা। ফুটবল বিশ্বে এই প্রবাদটির জীবন্ত উদাহরণ হয়ে উঠলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেও তার পায়ের জাদু যে এখনো অমলিন, তার প্রমাণ মিলল আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে। দীর্ঘ ১১ বছরের বিরতি কাটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আর্জেন্টিনার ‘বর্ষসেরা ফুটবলার’ (২০২৫) নির্বাচিত হলেন এই বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা।

বুধবার রাতে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটে বছরের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পান ৩৭ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।

বর্ষসেরার এই লড়াইয়ে ডি মারিয়ার সামনে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় দলের তারকা ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজ এবং মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেস। তবে গত এক বছরে ক্লাব ফুটবলে তার অভাবনীয় প্রভাব এবং পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বিচারে বিচারকরা ‘এল ফিদেও’র হাতেই তুলে দিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।

ডি মারিয়ার এই অর্জন এক অসাধারণ ফিরে আসার গল্প। এর আগে ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মৌসুমে প্রথমবার এই সম্মাননা জিতেছিলেন তিনি। মাঝে কেটে গেছে দীর্ঘ এক দশক। গত বছর এই পুরস্কার জিতেছিলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। উল্লেখ্য যে, এই ব্যক্তিগত অর্জনের তালিকায় ১৬ বার নাম লিখিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির সাম্রাজ্যে ১১ বছর পর ডি মারিয়ার এই প্রত্যাবর্তন তার অদম্য মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ।

২০২৪-২৫ মৌসুমে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা ছেড়ে শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে ফিরে আবেগঘন এক অধ্যায় শুরু করেন ডি মারিয়া। ফিরে এসেই ক্লাবের ভাগ্য বদলে দেন তিনি। ১৬ ম্যাচে ৭টি কার্যকরী গোল করার পাশাপাশি দলকে লিগ শিরোপা জেতাতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মূলত ঘরোয়া ফুটবলে তার এই অসামান্য অবদানের কারণেই বর্ষসেরার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে ছিলেন তিনি।

এক নজরে ডি মারিয়ার অর্জন: দ্বিতীয়বারের মতো আর্জেন্টিনার বর্ষসেরা ফুটবলার (আগেরটি ২০১৪ সালে)। রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে: ১৬ ম্যাচে ৭ গোল ও লিগ শিরোপা জয়। টানা ধারাবাহিকতা: ১১ বছরের ব্যবধানে পুনরায় শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি।