খেলাধুলা

বিপিএল: রাগ করে মাঠ ছাড়লেন সুজন, ফিরছেন ঢাকায়

বিপিএল শুরু হতে আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে একের পর এক নাটকীয় ঘটনায় আলোচনায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা পরিবর্তনের খবরে শুরু হয় দিন। দুপুর গড়াতেই নতুন করে নেতিবাচক শিরোনামে উঠে আসে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

দলের নানা অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানিয়ে অনুশীলন ছেড়ে মাঠ ত্যাগ করেছেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের। সিলেটে অনুশীলন শেষে তারা সিএনজিতে করে মাঠ ছাড়েন। পরে হোটেল থেকে ব্যাগ গুছিয়ে ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন দুই কোচ। বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেছেন তারা।

তালহা জুবায়ের জানান, “কোচ হয়েও তারা কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি বলেন, “আমরা কোচ হওয়া সত্ত্বেও কিছুই জানি না। সুজন ভাইও কিছু জানে না। আমাদের হাতে কোনো দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। অনুশীলনের জন্য ন্যূনতম যেটা দরকার—বল, স্ট্যাম্প—সেটাও নেই। আমরা পেশাদারভাবে কাজ করতে চাই, কিন্তু বিপিএলে এসে দুই দিন ধরে ঠিকমতো কাজই করতে পারছি না।” প্রয়োজনীয় সামগ্রী সময়মতো না পাওয়ার অভিযোগ করেন তালহা। তার ভাষ্য, ঢাকায় থাকার সময়ও অনুশীলনের জন্য বল পাওয়া যেত দেরিতে। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে বল নিয়ে অনুশীলন করাতে হয়েছে। সিলেটে এসে পরিস্থিতি আরো হতাশাজনক।

তিনি বলেন, “আজ অনুশীলনে এসে দেখি মাত্র তিনটা বল আনা হয়েছে। স্ট্যাম্প নেই, অন্য কোনো সরঞ্জামও নেই। মনে হয়, আমাদের হাতে বল দিলে আমরা চুরি করে ফেলব—এমন ভাব।”

এই পরিস্থিতিতে নোয়াখালী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তালহা জুবায়ের বলেন, “সবকিছু যদি ফ্র্যাঞ্চাইজির লোকজনই করে, তাহলে আমাদের কাজটা কী? এভাবে কাজ করার কোনো মানে হয় না। নিজের সম্মান নষ্ট করে কাজ করতে পারব না। আমরা দুজনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চলে যাব।”

আর্থিক বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন এই কোচ। তার অভিযোগ, “এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের পারিশ্রমিক বা ডে-এলাউন্স দেওয়া হয়নি। মূল কথা, আমাদের হাতে এখনো কোনো টাকা-পয়সাই আসেনি।”