ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন জীবনমুখী গানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। কিন্তু কবীর সুমন কেন এমনটা করলেন? এ প্রশ্নের উত্তর জানাতে খানিকটা ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে…’ সিনেমা। এতে নটী বিনোদিনীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শুভশ্রী গঙ্গুলি। সিনেমাটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দেখ দেখ কানাইয়ে’ শিরোনামে একটি গান। এতে পারফর্ম করেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি। গানটিতে নায়িকার পারফরম্যান্স দেখে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান কবীর সুমন। তাতে ভূয়সী প্রশংসা যেমন করেন, তেমনই নায়িকার কাছে ক্ষমাও চান কবীর সুমন।
ভিডিও বার্তায় কবীর সুমন বলেন, “শুভশ্রী কি তার নাম? যে গৌরাঙ্গের রোল করছেন, গাইছেন, নাচছেন? আমি বুড়ো বয়সে কেঁদে ফেলেছি। নটী বিনোদিনী গাইছেন, আর নাচছেন। মা কালীর দিব্যি বলছি, আমি এরকম মন ছুঁয়ে যাওয়া সুর, মন ছুঁয়ে যাওয়া কথা, মন ছুঁয়ে যাওয়া এক্সপ্রেশন, মন ছুঁয়ে যাওয়া নাচ দেখিনি। একি নাচ না কি অন্য কিছু? একি অভিনয় না অন্য কিছু? আমি কী বলব? আশীর্বাদ করুন যাতে মা সরস্বতীর আশীর্বাদ সকলের উপর থাকে, শুভশ্রীর উপর থাকে।”
শুভশ্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে কবীর সুমন বলেন, “শুভশ্রী নামটা কি ঠিক বললাম? নাকি চড় খাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম? বিশ্বাস করুন, আমি নাম ভীষণ গুলিয়ে ফেলি ভাই। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, এই বুড়োটাকে। কিন্তু আপনি অভাবনীয় অভিনয় করেছেন, অপূর্ব।” কবীর সুমনের মুখে এমন স্তুস্তি শুনে শুনে কেঁদে ফেলেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি।
গৌরাঙ্গ বা শ্রী চৈতন্য ও নানা সময়ের সমাবর্তন এই সিনেমার পটভূমি। এতে তিনটি সময়কাল এক সুতায় বেঁধেছেন নির্মাতা। শ্রীচৈতন্যর সময়কাল, নটী বিনোদিনী-গিরিশ ঘোষের সময়কাল এবং বর্তমান সময় এক সুতায় বাঁধা পড়ছে। শ্রীচৈতন্যের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দিব্যজ্যোতি দত্ত। সিনেমাটিতে শুভশ্রীর সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন—যীশু সেনগুপ্ত, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ইশা সাহা প্রমুখ।