চায়ের নগরী সিলেটের আকাশে আজ যখন হাজার হাজার রঙিন বেলুন উড়ছিল, তখন গ্যালারিতে উপস্থিত হাজারো ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়ে ছিল উৎসবের আমেজ আর চোখে ছিল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরের। তবে এবারের উদ্বোধনে কেবল ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট নয়, প্রাধান্য পেয়েছে দেশপ্রেম আর বীরত্বগাঁথা।
শ্রদ্ধাঞ্জলিতে শুরু, উৎসবে সমাপ্তি: সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার মাঠের লড়াই শুরু হওয়ার আগে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। সন্ত্রাসীদের গুলিতে অকালে প্রাণ হারানো শহিদ শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে পালিত হয় এক মিনিটের নীরবতা। এসময় ক্যামেরা যখন জায়ান্ট স্ক্রিনে প্যান করছিল, তখন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে পরম শ্রদ্ধায় মোনাজাতরত অবস্থায় দেখা যায়। জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানটি ক্রিকেটীয় উন্মাদনার মাঝেও এক টুকরো আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।
আকাশে রঙের মেলা ও বিসিবির ঘোষণা: শোকের আবহের পরই শুরু হয় উৎসবের দ্বিতীয় অধ্যায়। প্রায় ২৫ হাজার রঙিন বেলুন নীল আকাশে উড়িয়ে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দিনের আলোতেই স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে চোখধাঁধাঁনো ‘ডে-লাইট ফায়ারওয়ার্ক’ বা দিবালোকের আতশবাজিতে।
ফুয়াদের সুর আর তারকা ধারাভাষ্যকারদের মেলা: ম্যাচের উত্তেজনা বাড়াতে কমেন্ট্রি প্যানেলে যোগ দিয়েছেন একঝাঁক বিশ্বখ্যাত কিংবদন্তি। পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস ও রমিজ রাজা থেকে শুরু করে নিউ জিল্যান্ডের ড্যানি মরিসন এবং ইংল্যান্ডের ড্যারেন গফদের কণ্ঠ এবার শোনা যাবে বিপিএল-এর মাইক্রোফোনে। আর দেশি ধারাভাষ্যের সিগনেচার ভয়েস আতহার আলী খান তো থাকছেনই।
প্রথম ম্যাচ শেষে দর্শকদের জন্য থাকছে আরও বড় চমক। জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ফুয়াদ মুকতাদিরের তত্ত্বাবধানে ৪৫ মিনিটের এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পীরা।
এরপর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বিপিএল-এর নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম রয়্যালস।