অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) মঞ্চে নিজের উপস্থিতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের লেগ-স্পিন সেনসেশন রিশাদ হোসেন। পার্থ স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো খেই হারিয়েছে পার্থ স্করচার্স। রিশাদের তিন উইকেটের ওপর ভর করে পার্থকে অল্প পুঁজিতে আটকে দেওয়ার পর, ৩ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের দারুণ এক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে হোবার্ট হারিকেনস। চার ম্যাচে এটি রিশাদদের তৃতীয় জয়।
ম্যাচের অন্যতম নাটকীয় মুহূর্ত ছিল ইনিংসের ১৬তম ওভার। পার্থের ব্যাটার লরি ইভান্স তখন চড়াও হয়েছিলেন রিশাদের ওপর। ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮২ মিটারের এক বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে যখন ইভান্স দাপট দেখাচ্ছিলেন, তখনই নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন এই বাংলাদেশি স্পিনার। পরের বলেই ইভান্স উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এলে রিশাদ অফ-স্টাম্পের খানিকটা বাইরে বাড়তি বাউন্স ও টার্ন করান। ইভান্সকে পরাস্ত করে স্টাম্পিং করতে ভুল করেননি হোবার্ট কিপার। ২৭ রানেই থামতে হয় বিপজ্জনক ইভান্সকে।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা হোবার্টের হয়ে পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন রিশাদ। শুরুর দিকে কিছুটা রান হজম করলেও সপ্তম ওভারেই নিজের জাত চেনান তিনি। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে কুপার কনোলিকে ক্রিস জর্ডানের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরের পথ দেখান। নিজের তৃতীয় স্পেলে এসে তিনি ফেরান অ্যারন হার্ডিকে। সুইপ করতে গিয়ে রিশাদের বাড়তি বাউন্সে পরাস্ত হয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন হার্ডি।
পার্থের মতো ব্যাটিং স্বর্গে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেওয়া রিশাদের বিবিএল ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত সেরা সাফল্য। এর আগে মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে ৩৩ রানে ২ উইকেট ছিল তার সেরা বোলিং। ৪ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার প্রমাণ দিলেন এই লেগ-স্পিনার।
রিশাদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০ রানের বেশি করতে পারেনি পার্থ স্করচার্স। জবাবে হোবার্ট হারিকেনস ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
এক নজরে রিশাদের পারফরম্যান্স: বোলিং ফিগার: ৪-০-৩৩-৩ শিকার: অ্যারন হার্ডি, কুপার কনোলি ও লরি ইভান্স। টুর্নামেন্ট রেকর্ড: ৪ ম্যাচে ৬ উইকেট।