সারা বাংলা

নরসিংদীতে শীতের প্রকোপ, শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম 

নরসিংদীতে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। যে কারণে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্রগুলো ছাড়াও সড়কের পাশে ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম পড়েছে। বিশেষ করে নরসিংদী বড় বাজার এবং স্টেশন রোডসংলগ্ন ফুটপাতগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের শীতের পোশাক কিনতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্রেতারা আসছেন। 

সরেজমিনে নরসিংদী বড় বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, কার্ডিগান এবং শিশুদের পশমি কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের প্রধান গন্তব্য এখন ফুটপাতের এই অস্থায়ী দোকানগুলো।

ক্রেতা হাসনাইন আহমেদ বলেন, ‘‘হঠাৎ করে বেশ শীত পড়েছে। বাচ্চাদের জন্য সোয়েটার আর নিজের জন্য একটা জ্যাকেট কিনতে এসেছি। গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে হলেও কালেকশন বেশ ভালো।’’

গৃহিণী রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘‘ফুটপাতের দোকানে অনেক সময় খুব ভালো মানের বিদেশি সোয়েটার পাওয়া যায়। একটু খুঁজে নিতে পারলে কম দামে টেকসই কাপড় পাওয়া যায় বলেই এখানে আসা।’’

বেচাকেনা বাড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, ‘‘সকাল থেকেই কাস্টমার সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। এবার শীত একটু আগেভাগে আসায় ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছি। বিশেষ করে সোয়েটার আর কম্বল বেশি বিক্রি হচ্ছে।’’

আরেক বিক্রেতা মোবারক হোসেন বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন বেচাকেনা কম থাকলেও আজ বাজারে মানুষের ভিড় প্রচুর। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা দামের শীতের কাপড় আমার এখানে আছে। বড় বাজার থেকে পাইকারি দরে কাপড় নিয়ে আমরা এখানে খুচরা বিক্রি করি।’’

কালেকশন শেষ হওয়ার আগেই সবাই কেনাকাটা সেরে নিতে চাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। 

নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার বলেন, ‘‘নরসিংদী বড় বাজার বরাবরই কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। এবার শীতের শুরুতে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম দেখে ভালো লাগছে। আমরা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বাজারে আসা মানুষ যাতে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন এবং সুষ্ঠু পরিবেশে কেনাকাটা করতে পারেন, সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। আশা করছি, এই মৌসুমে ব্যবসায়ীরা গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।’’