সারা বাংলা

অনলাইনে জুয়ার টাকা নি‌য়ে দ্ব‌ন্দ্বে খুন হন বগুড়া‌র ব্যবসায়ী পিন্টু

বগুড়ায় অনলাইনে জুয়া খেলার মুদ্রা কেনাবেচার ১০ লাখ টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জে‌রে বন্ধুদের হাতে খুন হন ব্যবসায়ী পিন্টু আকন্দ (৩৮)। আদালতে এমনটাই স্বীকা‌রো‌ক্তি দি‌য়ে‌ছেন আসামিরা। 

আসামি এনামুল ও বাবুল মিয়ার স্বীকারোক্তির বরাতে আদালত পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নিহত পিন্টু আকন্দের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দুপচাঁচিয়া উপজেলার ডিম শহর এলাকার জুয়েল ও সজীব। তাদের মাধ্যমে পিন্টু অনলাইনে জুয়া খেলার মুদ্রা বিট কয়েন, অ্যাপ ও সফটওয়্যার কেনাবেচা করতেন। সম্প্রতি বিট কয়েন কেনাবেচার ১০ লাখ টাকা নিয়ে জুয়েল ও সজীবের সঙ্গে পিন্টুর বিরোধ হয়। এ নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে সালিস বৈঠক করেও কোনো সুরাহা মেলেনি।

পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিব ডিবি পুলিশ সেজে আসামি ধরতে রাজশাহী যাবেন, এমন কথা বলে মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। যাওয়ার পথে তিনি পিন্টুকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। তার উদ্দেশ্য ছিল পিন্টুকে এনামুল ও বাবলুর কাছে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা আদায় করা। কিন্তু মাইক্রোবাসে ওঠার পর পিন্টু চিৎকার শুরু করলে তার মুখ স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে মাইক্রোবাসের পেছনের সিটে ফেলে রাখা হয়। আদমদীঘি উপজেলার শালগ্রামে এনামুল ও বাবলুর কাছে পৌঁছানোর পর তারা দেখতে পান পিন্টু মারা গেছেন। 

ইতোমধ্যে মাইক্রোবাসের মালিক জিপিএসের মাধ্যমে গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক এবং চালক ফোন রিসিভ না করায় তিনি গাড়িটি বন্ধ করে দেন। এরপর আসামিরা পিন্টুর লাশ মাইক্রোবাসে ফেলে পালিয়ে যান।

এ প্রসঙ্গে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, পিন্টু আকন্দ খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দুজন পুলিশ রিমান্ডে আছেন। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ী পিন্টুকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালক সানোয়ারসহ (৪০), সাকিব (৩৫) এনামুল (৩৮) ও বাবলু মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। এনামুল ও বাবলু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।