রাজনীতি

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কেটে গেছে, ষড়যন্ত্র থেমে নেই: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে; তবে ষড়যন্ত্র এখনও পুরোপুরি থেমে নেই। তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকাংশে দূর হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। আজকের এই জটিল রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমানের আগমন রাজনীতির সমীকরণ সহজ করে দিয়েছে। তার প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দর্শন নতুনভাবে সামনে এসেছে।”

‘‘জনগণের মুক্তির জন্য জাতীয়তাবাদই সবচেয়ে উপযুক্ত রাজনৈতিক দর্শন। তারেক রহমানের দেশে ফেরার পর দলের জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দেশের জন্য যে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, তা রাজনীতিতে একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে,” বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র তো আগেভাগে সব বলা যায় না। তবে তারেক রহমানের দেশে ফেরায় নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে।” 

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘আগামী দিনে যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন তারেক রহমান নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক সফলতা অর্জন করবেন।’’

কবর জিয়ারতের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও খায়রুল কবির খোকন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়েদুল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছিরুদ্দিন নাছির, তারেক রহমানের এপিএস মিয়া নূর উদ্দিন অপু এবং বিশেষ সহকারী আতিকুর রহমান রুমনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম প্রমুখ।