চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে প্রকৃতি। বয়ে যাচ্ছে উওরের শীতল হাওয়া। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি একবারও।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে শ্রীমঙ্গলে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরো কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকতে পারে।
ঠান্ডায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। হাওরে চলছে বোরো চাষ, শীতের কারণে মাঠে কাজে যেতে পারছেন না চাষিরা। একইভাবে বাগানে কাজ করা চা শ্রমিকরাও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
রাজনগর উপজেলার মদিপুর গ্রামের দিনমজুর শেফুল মিয়া বলেন, “এক দিকে শীত, অন্যদিকে কাজের সংকট। কাজের আশায় শীতের মধ্যেই ভোর বেলায় শহরে আসতে হয়। কখনো কাজ পাই, কোনদিন শীতের কারণে পাই না। কাজ না করলে তো সংসার চলবে না।”
রিকশাচালক মনফর আলী বলেন, “কয়েকদিন ধরে ভোর থেকেই কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে থাকছে। সূর্যের আলোর দেখা মেলে না। রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। যে কারণে রিকশা যাত্রী পাচ্ছি না। শীত বাড়ায় আয় রোজগারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।”
লংলাভ্যালীর করিমপুর চা বাগানের শ্রমিক লসমী কৈরী বলেন, “শীতকে উপেক্ষা করেই আমাদের কাজে যেতে হয়। ঠান্ডা বাতাসে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। বিশেষ করে সকাল ও রাতে শীত বেশি পড়ছে। শীতের কারণে সবাই কষ্ট আছে।”
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, “আজ সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে জেলায় শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে। উত্তর অঞ্চল থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। আরো কয়েকদিন এমন অবস্থা চলতে থাকবে।”