জাতীয়

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করলো ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা চালু করেছে। প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা হয়েছে।

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে স্বাস্থ্যবীমা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলম।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিসে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা থাকা উচিত। সরকারি দপ্তর হিসেবে আমাদের কর্মীদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনতে পেরে আমরা গর্বিত।” 

তিনি আরও জানান, ঢাকার আয়তন ও জনসংখ্যার তুলনায় কর্মীর সংখ্যা কম। তাই জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যমান কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করেন, তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

প্রধান অতিথি আরও জানান, ডিএনসিসির নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের আরও ৫ হাজার কর্মী এবং মশক নিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে এবিএম শামসুল আলম বলেন, “গত এক বছরে ডিএনসিসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোনগুলোর একটি হলো স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম। প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি।”

স্বাস্থ্যবীমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর চারশ’র বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে অর্ধেক খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। অসুস্থ হলে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবেন। কোনো স্বাস্থ্যকর্মী মৃত্যুবরণ করলে এককালীন ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। বার্ষিক প্রিমিয়াম মাত্র ২০০ টাকা। 

প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কর্মীর বীমা খরচ বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক), বাকি ১ হাজার ৪৬৭ জনের খরচ বহন করছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতায় বীমা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়।