প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী, প্রার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পর এটিই প্রথম জকসু নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ক্যাম্পাসে ৩৯টি কেন্দ্রে ১৭৮টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব নির্বাচনী সামগ্রী ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে ভ্রাম্যমাণ টিম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “নির্বাচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি প্রস্তুত। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আমরা আশা করি।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, “নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “শুধু অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার ও নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্টরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক।”