ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নভি মুম্বাই শহরের তোলোজা এলাকার একটি আবাসিক হোটেল অভিযান চালিয়ে ১৬ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরী এবং আরো ছয় নারীকে দেহব্যবসায়ী চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করেছে নভি মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ)।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২১ ডিসেম্বর তালোজা এলাকার ‘নবনাথ ইন’ হোটেলে একজন ছদ্মবেশী গ্রাহক পাঠিয়ে এই অভিযান চালানো হয়।
এই ঘটনায় হোটেল মালিক বসন্ত শেট্টি, ম্যানেজার গিরিশ শেট্টি এবং রুম সার্ভিস বয় রোশন যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত ছয় নারীর মধ্যে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক।
অভিযুক্তরা একজন নাবালিকাকে এই চক্রে জড়িত করায় তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের পাশাপাশি ‘প্রিভেনশন অব ইমোরাল ট্রাফিকিং অ্যাক্ট’ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাচার সংক্রান্ত ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এএইচটিইউ-এর সিনিয়র ইন্সপেক্টর পৃথ্বীরাজ ঘোরপাড়ে জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে তারা একজন ছদ্মবেশী গ্রাহক পাঠান। অভিযুক্ত রোশন যাদব ওই গ্রাহকের সামনে নাবালিকা ও নারীদের হাজির করে এবং অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়।
ছদ্মবেশী গ্রাহক একজনকে পছন্দ করার পর যাদব তার কাছ থেকে দুই হাজার রুপি নেন। এরপর ওই নারী হোটেল রুমে প্রবেশ করা মাত্রই গ্রাহক বাইরে অপেক্ষারত পুলিশ দলকে সংকেত দেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ হানা দিয়ে ১৬ বছরের কিশোরী এবং ২২ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ছয় নারীকে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য তালোজা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।