খালেদা জিয়ার জন্ম জলপাইগুড়িতে। তার ডাক নাম পুতুল, পুরো নাম খালেদা খানম পুতুল। বাবা ইস্কান্দর মজুমদার এবং মা তৈয়বা মজুমদার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। ছোটবেলায় খালেদা জিয়া মাছ খেতে পছন্দ করতেন না, তবে মাংস তার খুব প্রিয় ছিলো। এক সাক্ষাৎকারে তৈয়বা মজুমদার মেয়ের শৈশব নিয়ে এসব কথা বলেন। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তৈয়বা মজুমদারের বর্ণনায় বেগম খালেদা জিয়ার শৈশবের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
‘‘ছোটবেলা থেকেই হালকা-পাতলা ছিল খালেদা। মাছ একেবারেই খেত না। মাংস ছিল খুব প্রিয়। ভালো খাবারদাবারের প্রতি ঝোঁক ছিল। তরকারির মধ্যে আলু আর ঢেড়শ বেশি পছন্দ ছিল। বোনদের মধ্যে সবার ছোট বলে আমাদের খুব আদরের ছিল। খুব গোছানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসত। নিজ হাতে ঘর গোছগাছ করত। ছোট দুই ভাইকে নাওয়া-খাওয়া করাত। আদর-যত্ন করত।’’
অন্যের কাজ খুব পছন্দ হতো না খালেদা জিয়ার। আর তিনি নাকি কখনো কোনো কিছুর জন্য বায়নাও ধরতেন না। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই ‘অপচয়’ পছন্দ করতেন না। খালেদা জিয়ার বিশেষ ঝোঁক ছিলো সংস্কৃতি চর্চায়।
তৈয়বা মজুমদারের বর্ণনা ‘‘পুতুল পড়াশোনায় ভালো ছিল। নাচ শিখেছে ওস্তাদের কাছে। অনেক ফাংশনে নেচে পুরস্কার পেয়েছে। গান শুনতে ভালোবাসত। কথা খুব বেশি বলত না। লেখাপড়া করে প্রথমে মিশনারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও দিনাজপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। আমার সঙ্গেই অন্তরঙ্গতা বেশি ছিল তার। অসুখ-বিসুখ বা প্রয়োজনে আমার উপস্থিতিই বেশি চেয়েছে। বরাবরই আমাদেরকে ঢাকায় চলে যেতে বলে। কিন্তু কী করে যাই?’’
খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে মা তৈয়বা মজুমদারের ভয় ছিলো। তিনি বলেন, ‘‘জনগণের জন্য জামাইকে হারিয়েছি। আজ মেয়েও রাজনীতিতে নেমেছে। জানি না কী হয়। আমরা খুব উদ্বিগ্ন তার জন্য।’’
সূত্র: খালেদা, মহিউদ্দিন আহমদ, পৃষ্ঠা নম্বর: ৬০