বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মতো শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। আবেগঘন বার্তায় তারা স্মরণ করছেন দেশের প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক নেত্রীকে।
শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের শোকবার্তার কাতারে রয়েছেন নগরবাউল জেমস। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন। আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা।”
চিত্রনায়ক জায়েদ খান এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে শোক প্রকাশ করে তিনি লেখেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায় ফজরের নামাজের পর ইন্তেকাল করেছেন—ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ তায়ালা তার রূহের মাগফিরাত নসিব করুন, জীবনের সব ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদৌসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন।”
চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ শোক জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লেখেন, “দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়ার বিদায়। দীর্ঘ এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি। আল্লাহ তাকে উত্তম মর্যাদা দান করুন।”
ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ সংক্ষিপ্ত একটি বার্তা দিয়েছেন। তাতে তিনি লেখেন, “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিসসহ নানা সংক্রমণজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তবে বয়সজনিত দুর্বলতা ও একাধিক জটিল রোগের কারণে তিনি মাঝেমধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
সর্বশেষ ২৩ নভেম্বর তাকে আবারো এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল, পূর্বের মতো এবারো তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চিরদিনের মতো না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।