যশোরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়েও পাঁচ দলের ৬ জয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ চেয়ে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারা প্রার্থীরা।
তারা হলেন—জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যশোর-৩ আসনের প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ, খেলাফত মজলিসের যশোর জেলা সভাপতি যশোর-৩ আসনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল্লাহ ও মণিরামপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি যশোর-৫ আসনের প্রার্থী মাওলানা তবিবুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডির) নেতা যশোর-৪ আসনের প্রার্থী আবু মুছা, গণঅধিকার পরিষদের নেত্রী যশোর-৬ আসনের প্রার্থী জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা যশোর-৪ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
প্রার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে গণপরিষদের প্রার্থী জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তি বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কার্যালয়ের ভিতরে নির্দিষ্ট বুথ থেকে সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করে অপেক্ষা করেন তারা। এ অবস্থায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন গ্রহণ চলতে থাকায় বিকেল ৫টা অতিক্রান্ত হওয়ায় সবাইকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। সবার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে বলে জানালেও ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর পর সময় শেষ, জানিয়ে আর কোনো মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেননি তিনি। এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রার্থীরা।