জিতলেই ফাইনাল। হারলে মিলবে আরেকটি সুযোগ। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে দুবাইয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছিল এমআই এমিরেটস ও দুবাই ক্যাপিটালস। টুর্নামেন্টের শীর্ষ দুই দলের প্রথম কোয়ালিফায়ারকে ঘিরে ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ। ব্যাটে-বলে রান উৎসব হয়েছে।
কিন্তু আড়ালে থেকেছেন বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে একেবারে অনুজ্জ্বল বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বোলিংয়ে মাত্র ১ ওভার সুযোগ পেয়েছিলেন। রান দিয়েছেন ১০। পাননি কোনো উইকেট। আর ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন আট নম্বরে। তখন দলের পরাজয় নিশ্চিত। সেখানে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ডেজার্ট ভাইপার্স টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৩৩ রান করে ১ উইকেট হারিয়ে। জবাব দিতে নেমে এমআই এমিরেটস করতে পারে ৭ উইকেটে ১৮৮ রান। মাত্র ৫৮ বলে ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আন্দ্রিস গোউস। ৭ চার ও ৯ ছক্কায় সাজান এই ইনিংসটি।
ইনিংসের সপ্তম ওভার করতে এসেছিলেন সাকিব। পাওয়ার প্লে’ শেষে ডেজার্ট ভাইপার্সের রান ছিল ৪৭। সাকিবের ওভার থেকে ফখর ও গোউস ১০ রান আদায় করে নেন। ১টি বাউন্ডারি আসে তার ওভারে। ফখর জামানের ব্যাট থেকে আসে সেই চার। এছাড়া সাকিবের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এমআই এমিরেটসের অধিনায়ক পোলার্ড সাকিবকে পরে আর বোলিংয়েই আনেননি।
ব্যাটিংয়ে সাকিব যখন ক্রিজে যান দলের রান ৬ উইকেটে ১৩৫। শেষ ২৯ বলে তাদের প্রয়োজন ৯৯ রান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাকিব মুখোমুখি প্রথম বলে চার হাঁকান পেইনকে। এরপর ওই ওভারে আর ২ রান নেন। কিন্তু পাইনের পরের ওভারের প্রথম বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে সাকিব ফেরেন সাজঘরে। ৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় তার দল।
ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবেন সাকিবরা। ২ জানুয়ারি তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে দুবাই ক্যাপিটালস ও আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ী দলের সঙ্গে। যারা জিতবে তারা পাবে ফাইনালের টিকিট।
৪ জানুয়ারি প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।