সারা বাংলা

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটক 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য। ২০২৫ সালের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় এবং ২০২৬ সালের প্রথম দিনের সূর্যকে স্বাগত জানাতে এই সমুদ্র সৈকতে আগমন ঘটেছে হাজারো পর্যটকের।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটে। গত বছরের তুলনায় এবার পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা আশা করছেন, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) আরো পর্যটক আসতে পারেন। 

এদিকে, কুয়াকাটার ৫০ শতাংশ হোটেল-মোটেলর কক্ষ বুকিং রয়েছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা বালিয়াড়ীতে উন্মাদনায় মেতে রয়েছেন। অনেকেই সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসাচ্ছেন। সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা যায় পর্যটকদের। 

যশোর থেকে আসা পর্যটক রাসেল-শাহিদা দম্পত্তি জানান, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াকাটায় পৌঁছেছেন। হোটেলে ব্যাগ রেখে তারা সোজা সৈকতে এসেছেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোরম পরিবেশ ভালো লেগেছে তাদের। বিকেলে সূর্যাস্ত এবং বৃহস্পতিবার ভোরে সূর্যোদয় উপভোগের লক্ষ্যে  কুয়াকাটায় আসার কথা জানান এই দম্পতি। 

টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক সুমন মিয়া বলেন, ‍“আজ বছরের শেষ দিন। গেল বছরের সব দুঃখ ভুলে নতুন বছরের প্রথম সূর্যদয়কে স্বাগত জানাতে আমরা বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানকার পরিবেশ ভালো লেগেছে। খাবার মূল্য এবং হোটেল ভাড়া বেশি মনে হচ্ছে। আজ যেহেতু কুয়াশা কম ছিল তাই আশা করছি, সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত এবং বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যোদয় উপভোগ করতে পারব।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা তৎপর।”