সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচারের ভূসয়ী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ।
খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘‘উনার মতো নেত্রী বাংলাদেশে আসবে কি না…আমরা সবাই জানি উনাকে কেন আপসহীন নেত্রী বলা হয়। উনি উনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ৪০ বছর কখনো, কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি। এজন্যই তিনি আপসহীন নেত্রী। আরেকটা বিষয়, উনার থেকে কখনো কোনো খারাপ কথা, খারাপ শব্দ শোনেননি। এই যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার এটা তিনি আমাদের শিখিয়ে গেছেন।’’
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার জানাজা এবং দাফন সম্পন্ন হয়। সকাল থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশ এলাকায় মানুষজন জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় ভরে ওঠে পুরো এলাকা। এক সময়ে জনস্রোতে পরিণত হয় পুরো ঢাকা। জানাজায় অংশ নিয়ে ফারুক আহমেদ স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতি মনে করেছেন ফারুক আহমেদ, ‘‘আমাদের আমলে কোনো ভালো ম্যাচ জিতলে...উনার ছেলে আমাদের সঙ্গে কাজ করতো। তিনি আমাদেরকে উনার কাছে নিয়ে যেতেন। দুই থেকে তিনবার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। উনি কথা বেশি বলতেন না। কিন্তু খুব মিনিংফুল কথা বলতেন। আমাদের উৎসাহ দিয়ে গেছেন। আমরা উনার মৃত্যুতে মর্মাহত। নিশ্চিতভাবে আমরা একজন অভিভাবক হারিয়েছি।’’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একা হয়ে গেছেন। বাবা-ভাইয়ের পর মা-কেও হারালেন তিনি। ফারুক আহমেদ মনে করছেন, সামনের নিঃসঙ্গ জীবনটা অনুভূত হবে তার, ‘‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একদম একা হয়ে গেলেন। মা নেই। বাবা নেই। আদরের ছোট ভাইও অনেক আগে চলে গেছেন। আমার মনে হয় উনার দিকটাও এখন দেখতে হবে। উনি এখন নিঃসঙ্গ হয়ে গেলেন। এখন হয়তো বুঝতে পারছেন না। তবে আমি নিশ্চিত চার-পাঁচদিন পর উনার এই জিনিসটা অনুভূতি হবে।’’
‘‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উনার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো আমরা দুজন একই স্কুল থেকে পাস করেছি। কোকোর সঙ্গে আমি প্রায় চার বছর কাজ করেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে। আমি নির্বাচক কমিটির প্রধান ছিলাম। উনি ডেভেলাপমেন্ট কমিটির প্রধান ছিলেন। এসব স্মৃতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’’