সারা বাংলা

ডায়েটিংয়ে দারুচিনি দারুণ

ডেস্ক রিপোর্ট : দারুচিনি মেদ কমাতেই নয়, সবকিছুতেই দারুণ কাজ করে। দারুচিনির অনেক গুণ, অথচ সে গুণের খবর অনেকেরই অজানা। দারুচিনির এসব উপকারিতা কথা জেনে অবাক হতেই হয়। চিকিৎসকরা দারুচিনির যেসব উপকারিতার কথা জানাচ্ছেন, তা এ রকম-

 

প্রথমত, এই মশলাটায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আবার নিয়ন্ত্রণে রাখে ইনসুলিনের মাত্রাও।

 

দ্বিতীয়ত, হজম শক্তি বাড়াতেও কাজ করে দারুচিনি। মানুষ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে জমা হওয়া ফ্যাট থেকে শক্তি নিতে শুরু করে। ফলে ডায়েটিং করলে দারুচিনি শরীরের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। এ দুটি কারণে সকলেরই উচিৎ দারুচিনির প্রতি মনোযোগী হওয়া। এ ক্ষেত্রে দারুচিনি চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে। কিংবা খাবারের তালিকায় এই মশলাটা রাখা যেতে পারে।

 

এ ছাড়াও মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে। এই ফলে ভিটামিন ই থাকে, যা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

খাওয়া যেতে পারে ব্রকোলি। এই ছোট্ট সবুজ সবজিটি ভিটামিন ই আর ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ, যা শরীর থেকে কেমিক্যাল উপাদান কমিয়ে মেটাবলিজম কমাতে সাহায্য করে। ব্রকোলিতে জল, ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে সারাদিনে সামান্য ব্রকোলিতে শরীরের চাহিদার অনেকটাই মেটাতে সক্ষম।

 

চিকিৎসকরা বলছেন, সপ্তাহে চার দিন ব্রোকলি খান। মাইক্রোওয়েভে সামান্য ভাপিয়ে নিয়ে নুন দিয়ে গোলমরিচ ছড়িয়ে ব্রকোলি খেতে পারেন। 

 

ডিম খেলেও কমবে মেদ। অবাক কথা নয়, এটাই সত্যি। ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে ডিম। ভিটামিন ই তে পরিপূর্ণ ডিম। তাই প্রতিদিন সকালে একটা করে ডিম অবশ্যই।

 

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ডিসেম্বর ২০১৪/শাহ মতিন টিপু/রণজিৎ