জাতীয়

সশস্ত্র বাহিনীর নতুন বেতনকাঠামো হস্তান্তর

বিশেষ প্রতিবেদক : সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন বেতনকাঠামোর সুপারিশ হস্তান্তর করেছে ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি’।  জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে  কমিটি সুপারিশ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য বেতনসংক্রান্ত সুপারিশ-প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির চেয়ারম্যান।  

প্রস্তাবিত সুপারিশে ১৬টি গ্রেড রয়েছে। সর্বনিম্ন বেতন হিসেবে এনসি-ই (বেসামরিক কর্মচারী)-এর বেতন সুপারিশ করা হয়েছে ৮ হাজার ২০০ টাকা (তবে তাদের সুপারিশে সর্বনিম্ন পদ এনসি পদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন ৯ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে) এবং সর্বোচ্চ বেতন মেজর জেনারেল পদে ৮০ হাজার টাকা সুপারিশ করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদের জন্য বেতন ৮৮ হাজার টাকা এবং সেনাবাহিনীর প্রধান তথা জেনারেলের বেতন ১ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি ২০১৩’ গঠন করা হয়। আট সদস্যের এ কমিটিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিবসহ তিন বাহিনীর সাতজন প্রতিনিধি রয়েছেন।

তিনি বলেন, সুপারিশ প্রণয়নকালে বেতন-ভাতা, পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে সব স্তরের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের সঙ্গেও কমিটি একাধিকবার বৈঠক করেছে এবং তাদের মতামত নিয়েছে।

সুপারিশ-প্রস্তাবে ১৬টি গ্রেড রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন যৌক্তিকভাবে বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখযোগ্য সুপারিশ করা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন বলেন, হিসাবের সুবিধার্থে জুনিয়র কমিশনার ও নন-কমিশনারদের বেতন স্কেল ভার্টিক্যাল স্কেলে প্রণয়ন করা হয়েছে এবং মেজর জেনারেল থেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পর্যন্ত সব পদের জন্য বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের সুনির্দিষ্ট গ্রেডের ধারাবাহিকতার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিসেস ১৯৫২’ অনুযায়ী এফএনএস কর্মকর্তাদের বেতন অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতো একই গ্রেডে নির্ধারণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষিত কোর্স যেমন- সেনাবাহিনী কমান্ডো, প্যারা কমান্ডো, প্যারা ট্রুপস, স্নাইপার প্রমুখের জন্য বিশেষ ভাতা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতে কাজ করতে আগ্রহী হন, সেজন্য সারা দেশে একই সমান বাড়িভাড়া প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

     

রাইজিংবিডি/ ১ জানুয়ারি ২০১৫/কেকে/এআর/কমল কর্মকার