আশরাফুল ইসলাম : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসের শুভ সূচনা করা হয়েছে। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার বাঘৈর গ্রামে অবস্থিত এটি। নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বিপরীতে। ১০ বিঘা জায়গার উপর নির্মিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্যাম্পাস। এখানে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত আবাসিক হলসহ একাধিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসটির শুভ সূচনা করা হয়েছে। এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ, বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে সেখানে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ব্রজসুন্দর মিত্র, অনাথবন্ধু মৌলিক, পার্বতী চরণ রায় ও দীননাথ সেন এর হাত ধরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় ব্রাহ্ম স্কুল । সেই ১৮৫৮ সালের ব্রাহ্ম স্কুল কালস্রোতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ পেরিয়ে ২০০৫ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়। যা আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
দেড়’শ বছরের ঐতিহ্যের পুরানো এই বিদ্যাপীঠ হাঁটি হাঁটি করে বৃহত্তর অঙ্গনে জ্ঞান বিতরণ করে আসছে। এ বিদ্যাপীঠ থেকে বহুগুণীজন বের হয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কর্মরত ছিলেন এবং অনেকে এখনো রয়েছেন।
ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস কেরাণীগঞ্জে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন নিয়ে ১০ বিঘা জায়গা ক্রয় করে। সেখানে ছাত্রদের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত ব্যবস্থাসহ আবাসিক হল নির্মাণ করা হবে। অত্যাধুনিক এই ছাত্র হলের নাম রাখা হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-এর নামে। এবং বিশতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
এ ছাড়া স্বেচ্ছায় কেউ যদি দশ বিঘা জায়গা প্রদান করে তাহলে সেখানে আবাসিক হল নির্মাণ করা হবে। জায়গা প্রদানকারীর প্রদত্ত নাম অনুসারে হলের নামকরণ করার হবে এমন ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এ লক্ষ্যে কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য বর্তমান সরকার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিমন্ত্রীসহ নসরুল হামিদ আশ্বাস দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শুভ সূচনার ব্যাপারে ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই জায়গার সংকটে ভুগছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের ফলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অত্র এলাকার লোকজন সকলেই উপকৃত হবে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জানুয়ারি ২০১৫/আশরাফুল ইসলাম/কামরুজ্জামান