অন্য দুনিয়া

গারো পাহাড়ের ঢালে অবৈধ বসতি

জেলা সংবাদদাতাশেরপুর, ৪ আগষ্ট: শেরপুরের গারো পাহাড়ের ঢালে দিন দিন বাড়ছে অবৈধ বসতি। শেরপুর গারো পাহাড়েরর রাংটিয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে গড়ে উঠেছে এসব বসতি।

এতে এরইমধ্যে বে-দখল হয়ে গেছে কমপক্ষে দুই হাজার একর সরকারি বনভূমি। আর এতে সহযোগিতা দিচ্ছে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের তির সাবেক বন কর্মকর্তাদের দিকে উঠেছে। বলা হচ্ছে তাদের যোগশাজসেই এ বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়েছে। গারো পাহাড় কাটাসহ একাধিক সংঘবদ্ধ কাঠ চোর সিন্ডিকেটকে সরকারি শাল-গজারি বাগান কাটার ব্যাপারেও সহযোগিতা দিচ্ছেন তারা।

ওই সব অবৈধ দখলবাজদের দেখাদেখি গোটা গারো পাহাড়েই এখন গড়ে উঠেছে ঘন বসতি। স্থানীয় বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, দখল প্রক্রিয়ায় এ যাবত কমপক্ষে দুই হাজার একর জমি বে-দখল হয়ে গেছে।

কিন্তু বনবিভাগ বেহাত হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে নামকাওয়াস্তে মামলা ঠুকে দিয়েই দায়িত্ব শেষ বলে মনে করছে।

আর এ দখল প্রক্রিয়ার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভূমিদস্যু ‘মানিক’। রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসের কাছে বনবিভাগের সৃজিত বাগানের ৫-৭ একর  জমি সে একাই দখল করেছে।

অথচ বনবিভাগ উচ্ছেদের ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে তার দেখাদেখি আরো লোকজন বে-দখল করেছে সরকারি বনভূমি। তৈরি করেছে অবৈধ বাড়ি-ঘর।আর এভাবে দৈনিক বাড়ছে দখল প্রক্রিয়া।

এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসার জামিল আহমেদ রাইজিংবিডিকে জানান, তার সময়ে কোনো বনভূমি দখল হয়নি। সবই তার পূর্বের রেঞ্জ অফিসারদের আমলে হয়েছে বলে দায় এড়ান এই অফিসার।

তবে ওইসব দখলকৃত জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ভূমিদস্যু মানিক জানান, তিনি বাড়ি তৈরি করেছেন ৩-৪ বছর আগে। এখানে শুধু সে একা নয়, বনবিভাগের জমিতে এই রকম শত শত বসতি রয়েছে বলে জানান মানিক।

বনবিভাগের বিট অফিসাররা বলেন, এসব জমি প্রাক্তন অফিসারদের আমলে বেদখল হয়েছে। তারা এখন সেসব জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে দখলকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।

 

রাইজিংবিডি / শাহরিয়ার মিল্টন / এস