মতামত

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে || আহমদ রফিক

অধ্যাপক বোরায়েত ফেরদৌসের কথাটা সঠিক মনে করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেবলই এক মিথ। এবং তার প্রভাব বাস্তব অর্থে নিজদের ভোলাবার জন্য। এক অপ্রিয় কথাগুলো দীর্ঘসময় ধরে আমার লেখায় বহুবার বলেছি। আবারও বলতে হচ্ছে একেরপর এক অপ্রীতিকর, ভয়ংকর সব ঘটনার পর যা সাম্প্রদায়িক হামলা নামে পরিচিত। বিভাগপূর্ব যুগের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এখন বিভক্ত উপমহাদেশে একতরফা হামলায় পরিণত।

 

এক সময় সম্প্রদায়ভিত্তিক দাঙ্গা হয়েছে উভয়পক্ষের তৎপরতায়। একে অন্যকে আঘাত করেছে, জানে মেরেছে। কেউ কম কেউ বেশি নিজ নিজ সাধ্যমত। ১৯৪৭ আগস্টে ভারত বিভাগের পক্ষে সম্মতি দিতে নিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক হানাহানিকে এর বড় কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে। এখনো মনে আছে, কারো কারো আশ্বাস ছিল, বিভাজন মেনে নিলে হত্যাকাণ্ড  বন্ধ হবে। কিন্তু তা হয়নি।

 

কারণ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং বিভাগোত্তর কালের একচেটিয়া সাম্প্রদায়িক হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। হয়নি এর মূল কারণ দূর না হওয়ার ফলে। বিভক্ত ভারতের তিন দেশেই সেই কারণগুলো শাসক শ্রেণি সজীব রেখেছে, ক্ষমতার স্বার্থে তা ব্যবহার করেছে, ভূত তাড়াবার কোনো চেষ্টাই করেনি। তাই ভূত বহাল অধ্যয়নে নিজ আপন পাকাপোক্ত করছে, ক্ষেত্র বিশেষে তার বিস্তার ঘটিয়েছে।

 

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ও পরবর্তীকালের হামলায় ধর্মীয় কারণ সক্রিয় হলেও, ধর্মীয়, বিভেদ প্রেক্ষাপট তৈরি করলেও তার পেছনে ছিল মার্কিন রাজনীতি, রাজনৈতিক স্বার্থ। সে স্বার্থ আবার নির্ভর করেছে আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের ওপর যা উপলক্ষ হিসাবে মানুষের কাছে তুলে ধরা হতো। যেমন শ্রেণিবিচারেও মুসলমান সম্প্রদায়ের  অর্থনৈতিক পশ্চাদপদ অবস্থা, পরস্পর বৈষম্য। স্বতন্ত্রভুবন বৈষম্য অবসানের একমাত্র সমাধান হিসাবে চিহ্নি স্বতন্ত্রভুবন গঠিত হল। কিন্তু বাস্তবতার টানে তা একক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভুবন হতে পারেনি। হওয়ার কথাও নয়। যেকোনো আমোদ ভারতীয় মুসলমানদের এ সত্যটা বুঝতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। তার পৃথক যার জের ধরে তিনি বিভাগোত্তরকালে ভারতীয় মুসলমানদের অভিযোগের জবাব দিয়েছিলেন। শ্রোতাদের প্রতিবাদ করার উপায় ছিল না।

 

ধর্মীয় সম্প্রদায়কে জাতি আখ্যা দিয়ে ভুল ব্যাখ্যায় ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষে উন্মাদনা জাগিয়েছিলেন প্রতিভাবাদ আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। সফল হয়েছিলেন ভারত ভাগে। কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আর সতটাও তার অজানা ছিল না। ঘটনাটি ছিল জেনে বুঝে বিষপান করানোর মতো।

 

আবারও বলি, সাম্প্রদায়িকতার ভুত তাড়া করে ফিরেছে অসহায় ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং দুঃখ জনশ্রেণিকে। এবং তা প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঘোড়ার পিঠে যাওয়ার হয়ে।

 

সত্তরের দশকে পূর্বপাকিস্তানের মুসলমান প্রধান বাঙালি জনগোষ্ঠী জাতিয়তাবাদ ও অসাম্প্রাদায়িকতার শ্লোগান তুলে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করলেও সমাজ সর্বাংশে সাম্প্রদায়িক চেতনামুক্ত ছিল না, সে সমাজকে সাম্প্রদায়িকতার বিষমুক্ত করার কাজে শাসকশ্রেণির কোনো আগ্রহ ছিল না, এবং তা তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছাপূরণ হওয়ার কারণে। স্বাধীন কথিত সেকুলার বাংলাদেশে স্বাধীনতার রোমান্টিক আবহ শেষ হওয়ার পর থেকেই নিঃশব্দেই শুরু হয় প্রভাবশালী, প্রতাপশালী রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের (বড় থেকে ছোট) সুবিধামতো সংখ্যা লঘু সদৃশ্যের বাড়িঘর, জমি বা সম্পত্তি দখলের খানাদি।

 

প্রতিক্রিয়া শুরু হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মূলত হিন্দুদের বাস্তুত্যাগ, দেশত্যাগ এবং স্বধর্মীদের ভুবনে গিয়ে শরণার্থীর মানবেতর জীবন যাপন। স্বধর্মীদের বিরুপ আচরণ তাদের বিষ্মিত করেছে, আহত করেছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে প্রাণ বাঁচাতে, ইজ্জত এ ছাড়া কীইবা তাদের করার ছিল? একেবারে পাকিস্তানি আমলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি, তবে কিছুটা ধীর গতিতে, নানা উপলক্ষ তৈরি করে; কখনো তা উপলক্ষহীন ক্ষমতার জোরে। তাই দেশবিভাগকালে পূর্ববঙ্গে ত্রিশ শতাংশ সংখ্যালঘুর হার কমে এখন দশ শতাংশে, কারো মতে ৮ থেকে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই ফল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নমুনা। স্মরণযোগ্য এই আঘাত সবচেয়ে বেশি পড়ে। নিম্নমধ্যবিত্ত বা অনুরূপ শ্রেণির ওপর। কিছুকাল থেকে এই প্রবণতাই শিক্ষার গাকে সাঁওতাল প্রভৃতি দড়িল ও আদিবাসী সম্প্রদায়।

 

॥ দুই ॥

উপমহাদেশীয় সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা নিয়ে কিছুটা দীর্ঘ ভূমিকার উদ্দেশ্য পাঠকদের সাম্প্রদায়িকতার পূর্ব ইতিহাস অতি সংক্ষিপ্ত বয়ানে কতটা অন্তঃসারশূন্য ও যুক্তিহীন তার বাস্তবতা তুলে ধরা। আবারও বলে রাখি এ অভিযোগ শুধু বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই নয়, অন্য দুই রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে সমানভাবে প্রযোজ্য। আর পাকিস্তানে সহিংসতার নতুন আলামত সুন্নি-শিয়া সংঘাত, কাদিয়ানিবিরোধী সন্ত্রাস।

 

রাজনৈতিক সামাজিক এমন এক অবাঞ্ছিত পরিবেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সামনে এনে মূলত নেপথ্যবাসীর অর্থনৈতিক স্বার্থ পূরণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বাংলাদেশি সমাজে লাগাতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিচিত্র সব ঘটনা এজন্য উপলক্ষ হয়ে দাঁড়ায় এবং তা বাঙালি মুসলমানের চেতনাধৃত সাম্প্রদায়িকতার অস্তিত্ব প্রমাণ করে। তা নাহলে একাত্তরের ঘতিক, যুদ্ধাপরাধী সাঈদির মুখ চাঁদে দেখা গেছে এমন উদ্ভট প্রচারণার মধ্যে দিয়ে বৌদ্ধ-হিন্দু পল্লীতে হামলা সম্ভব হয়? কিন্তু হয়েছে।

 

সবচেয়ে বড় কথা, লোক দেখানো তদন্ত হলেও ওই হামলা ও ধ্বংসকাণ্ডে মূল সংশ্লিষ্টদের শাস্তি হয়নি। এমন তথ্যও তখন উঠে এসেছিল যে এতে দুই প্রধান দলের স্থানীয় নেতা এবং কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা দুর্বৃত্ত রাজ্যসহ একাধিক এলাকায় মন্দির বিহারে ধ্বংস নেপথ্য রূপকার। এ জাতীয় ঘটনা দুর্বৃত্তদের সাহস বাড়ায়, সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তপনায় উৎসাহ জোগায়। এদের পেছনে যদি রাজনৈতিক সমর্থন থাকে তাহলে তো পোয়াবারো। সেক্ষেত্রে প্রশাসনেরও সমর্থন মেলে। পারস্পরিক স্বার্থে।

 

সম্প্রতি নাসিরনগরে সংঘটিত লংকাকাণ্ডে এমন বৈশিষ্ট্যেরই প্রকাশ ঘটেছে। যেজন্য থেকে থেকে বেশি কিছুটা সময় ধরে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চলেছে, ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তরা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী নয়। তবু প্রতিমা ভাঙচুর, মন্দির ধ্বংস যথারীতি চলেছে। নিহিত উদ্দেশ্য আক্রান্তদের ধর্মীয় চেতনার আঘাত করা এবং অস্তিত্বে আতংক সৃষ্টি যাতে তাদের বাস্তুচ্যুত, এলাকাচ্যুত করা যায়। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন (ইউএনও) ও পুলিশের ওপর। কিছুটা তাৎক্ষণিক  ব্যবস্থাও এ সম্পর্কে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, এবং দুর্বৃত্তরা এখনো মানসিকভাবে পযুর্দস্ত ও পরাজিত হয়নি। নাসিরনগর সম্পর্কে ইতিপূর্বে লেখা হয়েছে। তবু কিছু কথা বলার বাকি ছিল বলে প্রাসঙ্গিক এ অবতারণা।

 

॥ তিন ॥

আসলে এবারের লেখার বিষয় গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলা যা পূর্বঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও সমকালীন। এখানে অন্য রাজনীতির খেলা যা বরাবর প্রচলিত; এবং আগেও দেখা গেছে মধুপুরে আদিবাসীদের জমিদখলের শয়তানি খেলায়। সেসব ঘটনার কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা অনুসন্ধিসু পাঠকের অজানা নয়। তাই অন্যায় ও অপরাধের বীজ ধ্বংস করা হয় না, অনুকূল সময়ের পরিবেশে তা থেকে অংকুর গজায়। সিলেটের চা-শ্রমিকদের ভূমিদখলের ঘটনাও দুষ্পরিকল্পনার শৃঙ্খল চক্রের বাইরে নয়। জমি দখল, বাস্তুভিটা দখল, ব্যবসা বা সম্পত্তি দখল দুর্নীতিবাজ টাউট নেতা, পাতিনেতাদের বরাবরের অভ্যাস। দল তাদের নিরস্ত্র করে না।

 

গোবিন্দগঞ্জ, চিনিকল, আখচাষ ও সাঁওতালদের শোষণ, নির্যাতন  নিয়ে কয়েক দফায় লিখেছেন কলামিস্ট পাভেল পার্থ। তিনি একজন ব্যতিক্রমী কলাম লেখক। কয়েকটি প্রায় অনালোচিত বিষয় নিয়ে তার ভিন্নমাত্রার লেখা আকর্ষণীয়। লেখার আঙ্গিক, বিষয় নির্বাচন এবং সেসব লেখায় প্রতিফলিত সাহস, সততা ও অনুসন্ধিৎসু বিশ্লেষণের জন্য। ‘চিনির স্বাদ বদলের’ বয়ান পাঠকদের জন্য খুব ভালো উপহার।

 

হলে কি হবে? কায়েমি স্বার্থবাদীরা তাতে সাড়া দেবেন কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে? কারণ, সেখানে রয়েছে নানাবিধ স্বার্থের হাতছানি। গোবিন্দগঞ্জ এলাকার ঘটনা, নিরীহ সোজা সরল সাঁওতালদের ওপর দ্বিমাত্রিক হামলার পেছনে আছে বহুমাত্রিক স্বার্থপূরণের চরিত্র। ভূমি দখল বনাম জমির অধিকার রক্ষার লড়াই আজকের নয়, ইতিহাস সূত্রে তা যথেষ্ট প্রাচীন। আর এতে সাঁওতালসহ একাধিক আদি নৃগোষ্ঠীর ভূমিকা রয়েছে। যেমন ভারতের মুণ্ডা, ওঁরাও প্রভৃতি। আর সাঁওতালরা এদিক থেকে ইতিহাসের নায়ক। অনেকটা ক্ষুদ্রমাত্রায় রোমান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দাস বিদ্রোহের মতোই। এ বিষয়ে আগামি সংখ্যায় বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা রইল।

 

আপাতত এটুকু বলেই বিদায় যে রংপুর তথা মহিমাগঞ্জ চিনিকলে চিনি উৎপাদন, আখচাষ ও আখচাষীদের কেন্দ্র করে সুবিধাবাদী কিছুসংখ্যক শিক্ষিত মানুষের যে দুষ্টবুদ্ধি, লোভ ও লাভের টানে সরলপ্রাণ সাঁওতালদের ওপর রক্তাক্ত হামলা তা শ্রেণিবিভক্ত সমাজে ক্ষমতাশালী শ্রেণির শ্রেণি স্বার্থভিত্তিক কর্মকাণ্ড হিসাবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। এতে দেখা যায়, কখনো প্রশাসনের আপাত তৎপরতা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। শাসনদণ্ড এ  ব্যাপারে আন্তরিক না হলে ঘটনা কখনো রামু, কখনো খোদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর, কখনো নাসিরনগর বা গোবিন্দগঞ্জের চরিত্র অর্জন করে।

 

শিল্পায়নের তথা কারখানা স্থাপনের খাড়া বরাবর কৃষকদের ওপরই আঘাত হানে, হোক সে চাষী আদিবাসী কোনো নৃ-গোষ্ঠীর অথবা দরিদ্র স্থানিক বাঙালি। তাদের পুনর্বাসন কখনো সঠিকভাবে হয় না। যেমন হয়নি পাকিস্তানি আমলে রাঙামাটিতে। আর পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের নির্মমতায় তো দীর্ঘস্থায়ী শাসকের ঐতিহ্যবাহী ব্রামফ্রন্ট সরকারের স্থায়ী পতনই ঘটে গেল। রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার এমন পরিণাম রাজনীতি সচেতন সমাজেই ঘটে থাকে।

 

কিন্তু বাংলাদেশে সামন্ত-জোতদার ও উঠতি পুঁজিবাদী শ্রেণির শক্তির চরিত্র ও মহড়ার রকম ফেরই আলাদা। গোবিন্দগঞ্জে সম্প্রতি সুবিধাবাদী সুবিধাভোগী ত্রিশক্তির রক্তাক্ত তৎপরতার মহড়া দেখা গেল যথারীতি সাঁওতাল হত্যা, বাস্তুভিটা ও জমি থেকে তাদের বিতাড়নের ঘটনাবলীর মাধ্যমে। ত্রিশক্তি বলতে উপজেলা প্রশাসন, থানা-পুলিশ ও কারখানা-কর্তৃপক্ষ। তবে এক্ষেত্রে, এমনকি নাসিরনগরেও বাড়তি শক্তি স্থানীয় সংসদ।

 

এক্ষেত্রে সবারই এক লক্ষ সাঁওতালদের তাদের বসতি থেকে উচ্ছেদ এবং ভূমি দখল। প্রসঙ্গত একটা কথা বলে রাখি সময়ের ব্যবধানে জমির দাম ক্রমশ যত বেড়েছে, কোথাও আকাশচুম্বী হয়েছে, ভূমি দখলের দুষ্ট পরিকল্পনা সেই হারেই বেড়ে চলেছে। নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ হয় তেমনই উদাহরণ।

 

সাঁওতালদের ওপর হামলায় একাধিক শক্তির ঐক্য আমার মনে পড়ছে পাকিস্তান আমলে তেভাগা আন্দোলন উপলক্ষে নাচোল, নবাবগঞ্জ বা রাজশাহীর এলাকা বিশেষে সাঁওতালবাসীদের ওপর পুলিশ-জোতদারদের ঐক্যবদ্ধ হামলা, গুলিতে মৃত্যু, জেলখানায় নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনাবলি। পাকিস্তানি ভূত যে স্বাধীন বাংলাদেশে ও সক্রিয় তার প্রমাণ থেকে থেকে মিলছে। স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিচ্ছে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না, তারা যে দলেরই হোক। একই ধরনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীও নাসিরনগর হামলা সম্পর্কে, আমরা দেখতে চাই কথা ও কাজের মিল।

   

লেখক : কবি, গবেষক ও ভাষাসংগ্রামী

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/আহমদ রফিক/সাইফ