মতামত

অর্থনীতির সাত-পাঁচ-সতেরো

একটি দেশের অর্থনীতি সে দেশের সুখ-শান্তি ও মর্যাদা নির্ধারণ করে। কারণ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সম্পদ ব্যবস্থাপনার নিবিড় সংযোগ রয়েছে। সম্পদ থাকলে রাস্তাঘাট-সেতু নির্মাণ, অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার, ঘুরতে যাওয়া, প্রেমিককে দামি উপহার দেয়া, উন্নত জাতি গঠনে সবাইকে প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব। মর্যাদা নির্ধারণ করার বিষয়ে একটি বাস্তব উদাহরণ দিতে চাই। যখন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল কোনো দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান উন্নত বা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী কোনো দেশ সফর করেন তখন উন্নত দেশের একেবারে নিচের সারির কোনো প্রতিনিধি সে দুর্বল দেশের প্রতিনিধিকে স্বাগত জানাতে আসেন। তাই সকল বিবেচনায় একটি দেশের অর্থনীতিই বিশ্ব মানচিত্রে এর সার্বিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটায়।

দার্শনিক এরিস্টোটল অর্থনীতি বিষয়কে দুটি ভাগে ভাগ করেন, Oikonomiks ও Chrematistiks. Oikonomiks এর আলোচনার মূল উপাদান উৎপাদন ও ভোগ ব্যবস্থাপনা। অন্যদিকে, Chrematistiks এর আলোচনার বিষয়বস্তু হলো মুদ্রা ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় উৎপাদন। এ সব কিছুর বাইরে গিয়ে অর্থনীতির জন্য তিনটি ভিন্ন সংজ্ঞা উপস্থাপন করতে চাই। প্রথমত, একটি ক্লাসিক সংজ্ঞা হিসেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা (resource management) একেবারে যুতসই। সীমিত সম্পদ দ্বারা মানুষের অসীম চাহিদা পূরণের যে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সেটি অর্থনীতির মূল উপজীব্য। এ পৃথিবীর মূল সমস্যা হলো সম্পদের সীমাবদ্ধতা। একেকটি ফুটবল ক্লাবের সম্পদ সীমিত হবার কারণেই মেসি, CR-7, নেইমার, রুনি, সালাহ, গ্রিযম্যান, ন্যুয়ার বা হামজা চৌধুরী একই ক্লাবে খেলতে পারছেন না। সম্পদ অসীম থাকলে আফ্রিকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ভারতে স্যানিটেশন কার্যক্রম কিংবা পৃথিবীজুড়ে যে অবশ্যম্ভাবী বৈষম্য বাড়ছে তা নিরসন করা সম্ভব হতো। তাই সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমেই এ ধরার মানুষের সুখ-শান্তি  বাড়ানো সম্ভব। যদিও কেউ দাবি করতে পারেন অর্থনীতি না জানা লোকও তার পরিবারের সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজ সুচারুভাবেই করছেন।

কথা সত্য, তবে যখন তা পুরা দেশের বিষয় হয়ে যায় তখন একজন অর্থনীতিবিদের পরামর্শ আবশ্যক হয়ে ওঠে। মুদ্রা ছাপানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ কিংবা গ্রীস বা ইউক্রেনিয়ান সরকারের ঋণ কীভাবে পরিশোধ হবে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে অর্থনীতিবিদের দারস্থ হতেই হয়। এ ছাড়া রাজস্ব ও মুদ্রানীতির আবশ্যক সংযোগের সম্পর্ক কী রকম হবে এবং তা জাতীয় বাজেটকে কীভাবে প্রভাবান্বিত করবে সেটি জানার জন্যও অর্থনীতি জানা আবশ্যক। সতি বলতে কি, ‘বাজেটের সহজ পাঠ’ বলতে কিছু নেই, সবই জটিল। বৈষম্য কমাতে জোসেফ স্টিগলিজ বা অমর্ত্য সেনের বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ এর বিরুদ্ধাচরণের বাণী শুনতেই হয়; যদিও তাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করেছেন।

অর্থনীতির দ্বিতীয় সংজ্ঞায় বলতে চাই, এটি সামাজিক খরচ ও লাভের বিশ্লেষণ (social cost-benefit analysis) করে থাকে। একটি গাণিতিক উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে চাই। কোনো এলাকায় একটি সার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। পরিসংখ্যান বলছে, বছরে ১০০ ইউনিট সার উৎপাদিত হবে যেখানে প্রতি ইউনিটের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা এবং এর বাজার মূল্য প্রতি ইউনিট ২০ টাকা। লাভ-ক্ষতির হিসাবে বছর শেষে লাভ ১০০০ টাকা। এ আর্থিক ব্যবস্থাপনায় যে লাভ হলো এর পুরাটাই ঐ মালিকের যাকে accounting profit বলে। তবে এ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সার্বিকভাবে ঐ এলাকার অর্থনীতির ক্ষতিও হতে পারে। যদি উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যম ও কারণে সমাজের অন্যান্য খাতের ক্ষতি হয় তাহলে বছর শেষে সামাজিক ক্ষতিও হতে পারে।

ধরা যাক, সার উৎপাদনের কারণে পানি দূষিত হয়ে ঐ এলাকার মাছের উৎপাদন কমে গেল বা পরিবেশ দূষিত হলো কিংবা মানুষের অসুস্থতা বেড়ে গেল। তবে কি এ কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়া ঠিক হবে? অর্থনীতির সামাজিক লাভ-ক্ষতি হিসাবের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। অর্থনীতির আলোচনায় একটি সমাজ (এলাকা) বা রাষ্ট্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় থাকে বলে সরকার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। 

মনে করি, মাছের উৎপাদন কমেছে ৫০০ টাকার, পরিবেশের দূষণ হয়ে কৃষি উৎপাদন কমেছে ৪০০ টাকার এবং মানুষের অতিরিক্ত মেডিক্যাল খরচ বেড়েছে ২০০ টাকার। প্রসঙ্গত, প্রশ্ন আসতে পারে এ সকল ক্ষতির হিসাব করা সম্ভব কিনা?

উত্তর হলো অবশ্যই সম্ভব; অন্তত যে পর্যন্ত পরিমাপ করা যায় সে পর্যন্ত। মজার বিষয় হচ্ছে, অর্থনীতির আলোচনায় একজন ব্যক্তির রাতের ঘুমের হিসাবও টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা সম্ভব। আর যদি তা না পারা যায় তবে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন আমরা কীভাবে নির্ণয় করব। এ উদাহরণে মোট সামাজিক লাভ হলো ২০০০ টাকা (সার বিক্রি থেকে আয়) এবং মোট সামাজিক খরচ ২১০০ টাকা। সুতরাং, accounting profit ধনাত্মক ১০০০ টাকা হওয়া সত্ত্বেও এখানে অর্থনৈতিক ক্ষতি ১০০ টাকা। ফলে এ এলাকায় সার কারখানাটি স্থাপনের অনুমতি দেয়া ঠিক হবে না। উল্টাটিও হতে পারে। কারখানা স্থাপনের দ্বারা এলাকায় নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি, বাজার ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ সাধন, সারের সহজলভ্যতার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে। যে সকল ঋণাত্মক বিষয় রয়েছে অর্থনীতির আলোচনায় এগুলোকে নিগেটিভ এক্সটারনালিটি এবং ধনাত্মক বিষয়গুলোকে পজিটিভ এক্সটারনালিটি বলা হয়ে থাকে। এ সকল এক্সটারনালিটি পরিমাপের মাধ্যমেই অর্থনীতির পাঠে সামাজিক খরচ ও লাভের বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে।

সমালোচকরা এভাবেও বলে থাকেন অর্থনীতিবিদদের ফাইনান্স জানাও অনেক বেশি জরুরি। বস্তুত, অর্থনীতি ও ফাইনান্স এ দুটি বিষয়কে একই সাথে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে সম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজ অনেক কার্যকর ও দক্ষ হয়। আমাদের বর্তমান শক্তিশালী অর্থনীতি বিবেচনায় আগামী দিনে ক্যাপিটাল বাজেটিং এর ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতের মতো আচরণ করলে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজতর হবে।

অর্থনীতির তৃতীয় সংজ্ঞায় বলতে চাই, অর্থনীতি হলো রাজনীতির সারগর্ভ। যে কোনো রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিপালন করার একমাত্র ক্ষেত্র হচ্ছে সে দেশের অর্থনীতি। কেউ যদি পুঁজিবাদে বিশ্বাস করেন তবে তার রাজনৈতিক দর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যম হচ্ছে অর্থনীতি। আবার যদি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তার জন্যও অর্থনীতিই একমাত্র মাধ্যম। বহুল প্রচলিত একটি সংজ্ঞায় দুটি গরুর উদাহরণ দিয়ে খুব সুন্দরভাবে তা বোঝানো হয়েছে।

সোশ্যালিজম: আপনার দুটি গরু আছে। যার গরু নাই আপনি তাকে তা দিয়ে দিলেন। কমুইনিজম: আপনার দুটি গরু আছে। রাষ্ট্র দুটিই নিয়ে গেল এবং বিনিময়ে আপনাকে দুধ সরবরাহ করছে।  ক্যাপিটালিজম: আপনার দুটি গরু আছে। আপনি একটি বিক্রি করে ষাঁড় কিনলেন। ফ্যাসিজম: আপনার দুটি গরু আছে। রাষ্ট্র দুটিই নিয়ে গেল এবং পরবর্তীতে আপনার কাছে দুধ বিক্রি করছে। নাৎসিজম: আপনার দুটি গরু আছে। রাষ্ট্র দুটিই নিয়ে গিয়ে আপনাকে গুলি করল। 

কার্যত, অর্থনীতি পাঠের সবচেয়ে বড় কারণ হলো সম্পদ ব্যবস্থাপনা যাতে সকল আয়ের মানুষের জন্য একটি সুন্দর কাঠামো গড়ে তোলা যায়। ১৭৭৬ সালে একটি আলাদা ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিষয় হিসেবে ‘অর্থনীতি’র জন্মের পর ১৯৩০ পর্যন্ত সমস্টিক অর্থনীতির আলোচনায় তেমন কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হয়নি। সামগ্রিক যোগান ও চাহিদার ভারসাম্যের কারণে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। ১৯৩০ এর মহামন্দা মার্কিন অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পাশাপাশি অর্থনীতি পাঠে বিভিন্ন মতবাদ নিয়ে আসে। ১৭৭৬ সাল থেকে যে ভারসাম্য অবস্থা চলছিল সে সময়কে ‘ধ্রুপদী’ বা ‘ক্লাসিক্যাল’ ধারা বলা হয়ে থাকে যার নেতৃত্বে ছিলেন এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো, ম্যালথাস, জে বি সে এবং আরও অনেকে। 

১৯৩০ এর দশকে মার্কিন অর্থনীতির পথ ধরে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল তা থেকে উত্তরণের জন্য জন মেনার্ড কেইন্স ক্ল্যাসিক্যাল ধারাকে বর্জন করেন। সে বাস্তবতায় কেইন্স এর স্বকীয় দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে কেইন্সিয়ান অর্থনীতি। পরবর্তীতে ক্ল্যাসিক্যাল ও কেইন্সিয়ান দর্শনের উপর ভিত্তি করেই নব্য-ক্ল্যাসিক্যাল, নব্য-কেইন্সিয়ান, নিউ-ক্ল্যাসিক্যাল, নিউ-কেইন্সিয়ান এবং সর্বোপরি মনিটারিস্টদের উত্থান হয়। ১৯৭০ এর দশকে শুরু হওয়া মনিটারিস্ট ধারণার নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যান। ১৯৩০ এর মহামন্দা (Great Depression) থেকে উত্তরণে কেইন্স এর অর্থনীতির সম্প্রসারণমূলক নীতির কোনো বিকল্প ছিল না। যদিও মনিটারিস্টগণ দাবি করেন যথাযথ মুদ্রানীতির কৌশল প্রয়োগ করে মহামন্দা থেকে উত্তরণের একটি মনিটারি সমাধান ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলের কাছে যে সব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এগুলোর অর্থনীতিবিদগণ সাধারণত কেইন্সিয়ান আদর্শের অনুসারী যাদের বলা হয় saltwater economists। অন্যদিকে যারা মূল ভূখণ্ডে রয়েছেন তাঁরা ক্লাসিক্যাল ঘরানার যাদের বলা হয় freshwater economists.

১৯৩০ এর পর বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেকবার মন্দা হয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে তেল নিয়ে, ১৯৯৭ তে এশিয়ান ফাইনান্সিয়াল মার্কেটে, ২০০০ সালে ডটকম বাবল এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালে শুরু হওয়া গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিস বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর মাঝে শুধুমাত্র ১৯৩০ সালের বিপর্যয়কে মহামন্দা বা Great Depression বলা হয়েছে। বাকিগুলোকে বলা হচ্ছে মন্দা বা Recession. ডিপ্রেশন এর চেয়ে কম ক্ষতিকর হলো রিসেশন যার পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অনেক তাড়াতাড়ি শুরু হয় এবং সমষ্টিক অর্থনীতির চলকগুলো কম আহত হয়। ২০০৮ সালের বিপর্যয়কে Recession না বলে বলা হচ্ছে Great Recession, কারণ অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বেশ বিলম্বিত ছিল। ডিপ্রেশন ও রিসেশন এর পার্থক্য বুঝাতে একটি মজার উদাহরণ রয়েছে। রিসেশন হলো যখন আপনার প্রতিবেশি চাকরি হারায় আর ডিপ্রেশন হলো যখন আপনি নিজেই চাকরি হারান। সমালোচকরা দাবি করেন, এসব অর্থনৈতিক সংকটের জন্য অর্থনীতির তত্ত্বই দায়ী। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অর্থনীতির আলোচনায় ক্রমান্বয়ে অনেক পরিবর্তন আসে। অপ্রয়োজনীয় গাণিতিক সম্পৃক্ততা অর্থনীতি পাঠকে জটিল ও আনন্দহীন করে দিয়েছে। একইসাথে মানুষ ও সমাজকে অর্থনীতির বিষয়বস্তু থেকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে। 

অর্থনীতির আলোচনায় তিন ধরনের দৌড় রয়েছে, খুব স্বল্প মেয়াদী (very short run), স্বল্প মেয়াদী (short run) ও দীর্ঘ মেয়াদী (long run)। বিখ্যাত গণিত ও একই সাথে অর্থশাস্ত্রের পণ্ডিত কেইন্স ছিলেন একজন স্বল্প মেয়াদী দর্শনের অর্থনীতিবিদ। কারণ তিনি দাবী করেন দীর্ঘ মেয়াদে আমরা সবাই মৃত। যদিও রবিনসন প্রশ্ন করেছেন, তবে কি আমরা সবাই একসাথে মারা পড়ব? ১৭৭৬ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এ দৌড় নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। ১৯৩০ এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহামন্দার পর এসব স্বল্প আর দীর্ঘ মেয়াদের আলোচনা চলছে এবং কোনো উপসংহার ছাড়া। যে যা-ই বলেন, উসাইন বোল্ট কিন্তু একজন স্বল্প মেয়াদী ধারণা পোষণ করে থাকবেন! বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে যারা বিনিয়োগ করেন তারাও স্বল্প মেয়াদী দর্শনে বিশ্বাসী। সন্ধ্যায় বিনিয়োগ করে পরদিনই লাভ আশা করেন; অনেকটা রাতের বেলার সেক্স এর উপর ট্যাক্স বসিয়ে ঘাটতি বাজেট মিটিয়ে ফেলার মতো! 

সীমাবদ্ধ এ বিশ্বে মানুষের অসীম রুচি ও চাহিদার ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে বিষয় হিসেবে অর্থনীতি হয়ে উঠেছে অনবদ্য ও আকর্ষণীয়। এডাম স্মিথের ‘invisible hand’ এর উপস্থিতি এখন শুধু টের পাওয়া যাচ্ছে না বরং এ সব অদৃশ্য হাতগুলো পরস্পর হাত মিলাচ্ছে।

 

লেখক: উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষক