জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮

খুলনায় ৬ প্রার্থীর ভোট বর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনের ৫টিতে ধানের শীষের পাঁচজন ও লাঙ্গলের একজন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। রোববার ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। খুলনা-২ (সোনাডাঙ্গা-সদর) ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন। ভোট বর্জনকারী ধানের শীষের ৫ প্রার্থী হলেন, খুলনা-১ আসনের (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আমীর এজাজ খান, একই আসনের মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুনীল শুভ রায়, খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা। একই অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সুনীল শুভ রায়ও ভোট বর্জন করেন। খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভোট গ্রহণের ১ ঘণ্টার ভেতরে খুলনা-৫ আসনে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। শত শত ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। অনেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে, তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যে কারণে এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’ রকিবুল ইসলাম বকুল দাবি করেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা তাকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি এ প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছেন। আমীর এজাজ খান বলেন, ‘জাল ভোটের এ নির্বাচন আমি বর্জন করেছি।’ নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বিকেল ৪টায় বলেন, খুলনা-২ আসনের কেন্দ্রগুলোতে বিএনপির সমর্থক ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এজেন্টের বের করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু শেষ পর্যন্ত মাঠে রয়েছেন। রাইজিংবিডি/খুলনা/৩০ ডিসেম্বর ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/বকুল/শাহনেওয়াজ