এক. যাবতীয় দুঃসংবাদ খসখসে নিউজপ্রিন্টের মতো
আমি আজকাল বেঁচে থাকি নিজস্ব গতিপথে
ঝোলায় পড়ে থাকে আস্ত ক্যানভাস,
আশালো বিকেল ধরে উড়ে যায় বর্ণহীন হাঁক।
সস্তা কার্পেটে লজ্জ্বাকে মুছে নিয়ে
কারো কাছে বহুবার পথ ভেঙে যাই,
কোথাও খুইয়ে বাঁচি ব্যয়িতা হৃদয়।
আমি কখনোই কাটিয়ে উঠতে পারিনি অভিশাপ,
কিংবা যাবতীয় আয়েব।
পড়ে ফেলতে গেলে
তক্তপোষ ভিজে নামে যাবতীয় দুঃসংবাদ।
ইদানীং নিজেকে বিরক্তিকরভাবে ঘৃণা করি আমি। আমাকে ভর্ৎসনা করে আরেকটি কাঠগোলাপ,
আঁড়ালের আড় থেকে আমি যাকে ভালোবাসি-
দূরত্ব বজায় রেখে; আমার গণ্ডিত যোগ্যতা জেনেও।
সন্ধ্যার হুইসেলে কেউ কেউ থেমে যায় দুই. এটাই আমার প্রাপ্তি তোমাকে দেব বলে একটি গোলাপকে
আটকে রেখেছিলাম আমার মনের লাল সেলুলয়েডে।
চেয়েছিলাম তোমাকে দেব
কিন্তু আজ!
আজ সেই গোলাপকে হয়তো আর তাজা পাবে না,
পাবে না তার সুগন্ধ তোমাকে ভালোবেসে আমার প্রাপ্তির খাতাটা পরিপূর্ণ
শত গোলাপের কাঁটা বিঁধেছে আমার ফুসফুসে।
আমাকে করেছে ক্ষত-বিক্ষত!
হয়তো এটাই আমার প্রাপ্তি! পাপিয়া পিয়া : সদস্য, রাইজিংবিডি পাঠকসংঘ, নওয়াপাড়া কলেজ, যশোর রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মে ২০১৭/সাইফ/রাসেল পারভেজ