ফটো ফিচার

শ্রাবণে মেঘ-প্রকৃতির মিতালি

আজিশ্রাবণঘন- গহন- মোহে, গোপন তব চরণ ফেলে, নিশার মতো নীরব ওহে, সবার দিঠি এড়ায়ে এলে। প্রভাত আজি মুদেছে আঁখি, বাতাস বৃথা যেতেছে ডাকি, নিলাজ নীল আকাশ ঢাকি, নিবিড় মেঘ কে দিল মেলে।

ঠিক কবিগুরুর কবিতার মতোই শ্রাবণের আকাশ। কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি। পাবনার চাটমোহর উপজেলার চলনবিল ও সুজানগরের গাজনার বিল থেকে এমন বিচিত্র শ্রাবণের কিছু আলোকচিত্র তুলে পাঠিয়েছেন রাইজিংবিডির পাবনা প্রতিনিধি শাহীন রহমান।

বৃষ্টি শেষে চকচকে সোনা রোদ, তারপর আবার মেঘের আনাগোনা। এমন বর্ষার বিকেলে উদাসী মনে নৌকা নিয়ে বেড়াতে কার না ভালো লাগে! রোদ ও ছানা কাটা মেঘ গ্রাম বাংলার প্রকৃতির রঙ, রূপ আর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল থেকে গত ২৯ জুলাই তোলা।

আকাশজুড়ে কালো মেঘ। বিলের পানিতে পড়েছে তারই প্রতিচ্ছবি। আকাশ আর বিলের পানি মিলেমিশে এক হওয়ার আহবান। বর্ষার এমন রূপ যেন গ্রাম বাংলার চিরায়ত দৃশ্য। পাবনার চাটমোহর উপজেলার চলনবিল থেকে গত ২৮ জুলাই তোলা। 

দেখেছি তোমার মনে অজস্র বিরহে, জমানো মেঘ কালো। মিত্রতার আড়ালে হারিয়ে কেন নিজের, আকাশে মেঘগুলো একলা মেলো। 

পাহাড়কে ডেকে মেঘ বলল, তুই কি আজ বৃষ্টি নিবি? আলতো স্পর্শে গা ভিজাবি? ভালবেসে বৃষ্টি দেবো, তোর গহীনে জল ছিঁটাবো, শান্ত কোলে ঘুম পাড়াবো। বৃষ্টি নিবি? পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল থেকে গত ২৯ জুলাই তোলা।

আকাশে মেঘের ঘনঘটা, নিচে সবুজ শ্যামল মাঠ। হয়তো এখনই নামবে অঝোর ধারা। এমন সময় ধান ক্ষেতের মাঠে ডিঙি নৌকার ছইয়ের মধ্যে আশ্রয় খুঁজছে শিশু-কিশোররা। এযেন গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপেরই প্রতিচ্ছবি। এমন দৃশ্য শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায় যে কাউকে। ছবিটি পাবনার চাটমোহর উপজেলার চলনবিল থেকে গত ২৮ জুলাই তোলা।