রাজনীতি

চুক্তির জন্য মোদিকে স্বাগত, শেখ হাসিনাকে নয়!

নিজস্ব প্রতিবেক : আগামী ৬ জুন বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি। তাকে বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

 

স্থল সীমান্ত চুক্তি এবং তিস্তা চুক্তির বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হওয়ার পথে এই দুই প্রতিবেশি দেশ। অথচ ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিকে বিএনপি গোলামি চুক্তি বলে আখ্যায়িত করে আসছে।

 

এই সীমান্ত চুক্তি এবং তিস্তাচুক্তির অগ্রগতির ব্যাপারে বিএনপি নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাচ্ছে, অথচ হীনমন্যতা না থাকলে শেখ হাসিনাকেও অন্তত: একটা ধন্যবাদ দিতে পারতো।

 

বুধবার ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস আয়োজিত ‘ইনক্রিজিং মেরিটাইম কানেকটিভিটি : বাংলাদেশ বিজনেস প্রসপেক্টস’ শীর্ষক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।

 

এই চুক্তির মূল কারিগর ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ বিএনপি একে গোলামি চুক্তি বলে আখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে বলে অভিযোগ করেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রীর।

 

তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে নৌ বাণিজ্য এবং যোগাযোগে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্যে সমুদ্র পথে আরো উন্নত অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সোনাদিয়া, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, মংলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ হবে , চট্টগ্রামকে আরো আধুনিক ও সক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এসবই বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কৌশল। অথচ বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও নদী পথের জন্য তেমন কিছু করেনি বরং এই সরকার যখনই ভালো কিছু করতে যায় তখন পাল্টা সমালোচনা করে দলটি।

   

নৌমন্ত্রী বলেন, দেশের একটি অন্যতম প্রথম শ্রেনীর পত্রিকাকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। ওই পত্রিকাটি বারবার সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। এবার আদালতে তার বিচার হলো।

 

নৌমন্ত্রী বলেন, তিনিও একটি পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করছেন। তার আশা ওই মামলায়ও একইরকম রায় হবে। তিনি সাংবাদিকদের সমালোচনামূলক লেখার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের খবর প্রকাশেরও অনুরোধ করেন।

 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নৌ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এবং ঢাকা চেম্বারের কর্মকর্তারা। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সমুদ্র পরিবহণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

 

রফিকুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্য বাড়াতে হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে দরকার অবকাঠামো। তিনি বলেন, সমুদ্র  পথে বাণিজ্যে আমাদের সুবিধা বেশি। প্রতিবেশি দেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা এমনকি চীনের সঙ্গে সমুদ্রপথেই বাণিজ্য হলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।

 

তিনি বলেন, সময় বাঁচাতে এবং যোগাযোগ বাড়াতে সমুদ্রপথ আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। এজন্য সরকার যে সব উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে। তিনি এই খাতে শিল্পউদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

     

রাইজিংবিডি/২৭ মে ২০১৫/নাগ/নওশের