রাজনীতি

৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারকে আলটিমেটাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি করতে গেলে সচিবালয় ৫নং গেটের সামনে পুলিশ বাধা দিলে সেখানেই সমাবেশ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটি (সিপিবি)।

 

এ সময় তারা সরকারকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না করলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠন দুটির নেতারা।

 

সোমবার দুপুরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবি-বাসদের নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

 

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সিপিবি-বাসদ দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে রওয়ানা হয়। পুলিশ তাদের সচিবালয়ের ৫নং গেইটের সামনে আটকে দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিপিবি-বাসদ।

 

সমাবেশে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছি। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে তারা আলোচনা করতে চায়নি। এরপর আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছি, তাতেও পুলিশি বাঁধা আসছে।’

 

তিনি বলেন, ‘সরকার স্বেচ্ছাচারিতা কায়দায় জনগণের টাকা লুটপাট করে মন্ত্রী, আমলাদের পকেট ভারী করতেই মূল্যবৃদ্ধি করেছে। আমরা সরকারকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিলাম। যদি এর মধ্যে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে মূল্য আরো কমানো না হয়, তাহলে সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

 

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। কোনো কারণ ছাড়াই সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। মহাজোটের শরিক অনেক দলও ইতিমধ্যে এর বিরোধিতা করেছে। তবুও সরকার তা কানে তুলছে না।

 

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আমরা আলোচনা করতে চেয়েছি। আপনি কেন জনগণকে এত ভয় পান। অযৌক্তিক মূল্য প্রত্যাহার না করলে এ জনগণের হাত থেকে আপনি রেহাই পাবেন না।’

 

বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বিইআরসি’র ৭ ধারার উপধারা (১) বলা আছে, গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে বর্ধিত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু ৯০ দিনের পর এ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে বিইআরসি নিজেই নিজের আইন লঙ্ঘন করেছে।

 

তিনি বলেন, আইনের ২ উপধারায় বলা আছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস কোম্পানি মুনাফা লাভ করলে মূল্য বৃদ্ধি নয়, কমানো যাবে। কিন্তু দেশের সব বিদ্যুৎ ও গ্যাস কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করেছে। তবুও কেন এবং কার স্বার্থে বিইআরসি মুল্যবৃদ্ধির সুপারিশ করেছে? বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের প্রান্তে প্রান্তে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

 

কর্মসূচিতে সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ আগস্ট ২০১৫/মামুন/সাইফুল