রাজনীতি

‘সরকারি লোকের দখলে পশুরহাট’

নিজস্ব প্রতিবেদক : সর্বত্র দলীয়করণ আর দখলদারিত্ব চলছে, অভিযোগ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, দখলদারিত্বের ধারবাহিকতায় সরকারি দলের ‘কালো থাবা’ থেকে কোরবানির পশুরহাটও নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, এই অবস্থায় একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ন্যাপ ও ২০ দলীয় জোটকে সুসংগঠিত করতে হবে।মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে ন্যাপ কার্যালয়ের যাদু মিয়া মিলনায়তনে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভায় তিনি এ কথা বলেন।সংবিধানে গণতন্ত্র থাকলেও সমাজে বা রাষ্ট্রে তা নেই উল্লেখ করে জেবেল রহমান বলেন, ‘স্বাধনীতার মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু দেশের গণতন্ত্র আজ প্রাণহীন, গণতন্ত্র নির্বাসিত। আমরা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম করব।’ন্যাপ চেয়ারম্যান দেশবাসিকে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা জানান।ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘দেশে কথা বলার অধিকার নেই, ভোট দেবার অধিকার নেই, সর্বত্র দখলদারিত্ব চলছে। দেশে আইনের শাসন নেই। দেশে সুশাসন আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশপ্রেমিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’তিনি বলেন, সরকার দেশে অত্যাচার, দুর্নীতি ও বৈষম্যের পাহাড় সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মো. নুরুল আমান চৌধুরী, আহসান হাবিব খাজা, মো. রাশেদউদ্দিন ফয়সাল, মো: শহীদুননবী ডাবলু, মো. কামাল ভুইয়া, মো. আনছার রহমান শিকদার, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, উপ-সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।সভায় কোরবানির পশুরহাট নিয়ে চাঁদাবাজি, টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে জনতার প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের গুলিতে সাধারন মানুষের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কোরবানি ঈদের পশুর চামড়া নিয়ে ‘সরকারি দলের চাঁদাবাজি’ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানানো হয়।এছাড়া সভায় ঈদের পূর্বেই বিরোধী দলের সব রাজবন্দির নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/রেজা/নওশের