রাজনীতি

‘আবদুল মতিন জাতীয় রাজনীতির অহংকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনকে ‘জাতীয় রাজনীতির অহংকার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া।

 

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের মানবতাবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রাজনীতির মধ্যদিয়ে বিদ্রোহের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন ভাষা মতিন। তিনি স্পষ্টত বলতেন, উৎপীড়িতের কান্না না থামা পর্যন্ত, সাম্রাজ্যবাদী ও লুটেরা শক্তি স্তব্ধ না হওয়া অবধি, তার সংগ্রাম চলবে।

 

রাজধানীর নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সকালে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।

 

ন্যাপ ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনছার রহমান শিকদার, মো. বেলাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল-মাসুম, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী প্রমুখ।

 

আবদুল মতিন সারাজীবন নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে কঠোর সংগ্রামের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করেছেন উল্লেখ করে গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

 

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, আবদুল মতিন ১৯৫২ সালে বাংলা মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৫৭ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ন্যাপ গঠন করলে তিনি তার পাশে এসে দাঁড়ান। আমৃত্যু তিনি সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় ও তার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন।

 

তিনি বলেন, ক্ষমতা তাকে (আবদুল মতিন) আকৃষ্ট করতে পারেনি। শুধু ক্ষমতাই রাজনীতির উদ্দেশ্য হতে পারে না, তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেটারই প্রমাণ রেখেছেন।

 

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেন, ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের আপোশহীন রাজনীতি ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল অত্যাচারী শাসকশ্রেণির। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিল।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ অক্টোবর ২০১৫/রেজা/বকুল