রাজনীতি

‘সাজা হলেও নির্বাচন করতে পারবেন খালেদা’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলেও তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন এবং দল ও জোটের নেতৃত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। ‘পিলখানা ট্রাজেডি : সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার যদি সাজা হয়ে যায়, তাহলে উনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এটা সঠিক নয়। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হলে আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব। তার জামিন চাইব। সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হলেও নির্বাচনে তিনি সরাসরি অংশ নিতে পারবেন। শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নয়, বরং তিনি দল এবং জোটের নেতৃত্ব দিতে পারবেন। পরিষ্কার করে বলছি, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার যদি সাজাও হয় তাহলে তার জনপ্রিয়তা আরো অনেক বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি আমার সঙ্গে দ্বিমত করবেন না।’ আগামী নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের সময়ে কমিশন কী করবে, না করবে, এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চাই। আমরা আলাপ-আলোচনা, সংলাপ করতে চাই। সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান এই রাজনৈতিক সংকট ও গণতন্ত্রের সংকটের নিরসন চাই। কিন্তু সেটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আন্দোলন ছাড়া আমাদের আার বিকল্প থাকবে না। দেশের মানুষই তখন রাস্তায় নামবে, আন্দোলন করবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সেই দাবি আদায় করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই, থাকবে না।’ দেশের মাটিতে আর একদলীয় নির্বাচন হবে না, মন্তব্য করে বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘সেটা যদি কেউ চিন্তা করে থাকে বা সেই ধরনের কোনো পরিকল্পনা থাকে, তাহলে তারা বাস্তব অবস্থা থেকে অনেক বিচ্ছিন্ন।’ নির্বাচনের পাশাপাশি বিএনপি আন্দোলনও চালিয়ে যাবে, এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া একদিকে যেমন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবেন, অন্যদিকে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোট দেওয়ার যে পরিবেশর কথা বলছি তার জন্য কাজ করবেন।’ পিলখালা ট্রাজেডি সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড বিষাদময়। কিছু ক্ষেত্রে বিচার হয়েছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে যারা এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল, তাদের বিচার এখনো হয় নাই। এটা একটা বিরাট রহস্য। যে ৫৭ জন অফিসার, যাদের বেশিভাগের ছিল ব্রাইট ফিউচার, তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তবে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এবং কারা জড়িত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে।’ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/রেজা/রফিক