রাজনীতি

সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত: জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস করে ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়া বিএনপি-জামায়াত এখন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এগুলো মোকাবেলা করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও নেতা-কর্মীদের আরো পরিশ্রম করতে হবে। রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। জয় বলেন, ‘দুর্নীতি করেছে বিএনপি, সন্ত্রাস করেছে জামায়াত। এই দুই দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। অথচ আমরা কত কাজ করেছি, মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছি, স্কুলে ৩২ কোটি বই বিতরণ করেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিয়েছি। তারপরও তারা এই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, সরকার ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু কাজ করলে হবে না, মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে তাদের জন্য আমরা কী করছি । যা করা হচ্ছে তা আওয়ামী লীগ সরকার করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র, নিজ অর্থে পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে। আমরা এটার টাকা জোগাড় করে দিয়েছি, আমরা পরিশ্রম করছি।’ জয় বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকে মোকাবেলা করতে হলে, আমাদের নিজেদের প্রচার নিজেদেরই করে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছেন তারা মানুষের সামনে নিজেদের অবদানের কথা বলতে অর্থাৎ নিজের ঢোল নিজে পেটাতে লজ্জা পান। এটা স্বাভাবিক, কারণ আমরা সৎ মানুষ। এই সৎ মানুষরা সব সময় নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পান।’ এই লজ্জা ঝেড়ে ফেলার পরামর্শ দিয়ে জয় বলেন, ‘যারা পরিশ্রম করতে পারে, যারা সৎ তারা একটু লজ্জা পায়। তবে সেই লজ্জা পেলে হবে না। আমাদের জোর গলায় বলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সেটা মোকাবেলা করতে হবে। আমরা কী করছি, সেটা বার বার বলতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেন, ‘আমাদের তরুণরা এখন আর খবরের কাগজ পড়েই না। খবরের কাগজে শুধু আমাদের ওই সুশীল বাবুদের মতামতই দেখা যায়। তরুণরা ওটা পাত্তা দেয় না। তরুণরা টেলিভিশনটাই বেশি দেখে। তবে সবচেয়ে বেশি খবর তার পায় স্যোশাল মিডিয়া থেকে। সে কারণে আমাদের জন্য স্যোশাল মিডিয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জন্য কাজ করছি, স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে যদি আমাদের প্রচার রাখতে পারি তাহলে আজকের ভোটার না, তরুণ ভোটাররাও আওয়ামী লীগের ভোটার হয়ে থাকবে।’ কর্মশালায় প্রায় ৫০ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আগামী দুই দিনে আরও ১০০ জন সংসদ সদস্যের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কীভাবে কার্যকরভাবে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করা যায়, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদেরকে তিনি হাতে-কলমে তা শেখান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ মে ২০১৭/নাসির/শাহনেওয়াজ