রাজনীতি

বানভাসীর হাহাকারে সরকারের দৃষ্টি নেই : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় বানভাসী মানুষ আশ্রয় ও ত্রাণ পাচ্ছে না দাবি করে বিএনপি বলছে, ভুক্তভোগীদের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি নেই।  মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অনেক মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে অথচ আওয়ামী লীগের নেতারা বন্যাদুর্গতদের পাশে না দাঁড়িয়ে গণভবন-বঙ্গভবনে দৌড়ঝাঁপ করছেন। দায়সারা একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা নিজেদের দায়িত্ব শেষ করছেন।’ ‘বানভাসীরা না পাচ্ছে আশ্রয়, না পাচ্ছে ত্রাণ। চারদিকে খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে হাহাকার করছে। দেশের অধিকাংশ জেলা বন্যায় ডুবছে আর আওয়ামী নেতারা সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে অশ্রাব্য ধারাবর্ষণ করছেন।” রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পানিবন্দি লাখ লাখ অসহায় মানুষের সঙ্গে যেন আওয়ামী লীগ উপহাস করছে। মূলত: এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিক থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার জন্যই তারা মূল সমস্যার বাইরে কথা বলছেন। বানভাসী মানুষের জন্য যেন সরকারের কিছুই করণীয় নেই।’ দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশের সকল বিত্তবানদের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বানের পানিতে হাজার হাজার নারী শিশু ও সাধারণ মানুষ ডুবে যাচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ গৃহহারা, আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেই, খাবার নেই, আবার কোথাও কোথাও আশ্রয়ও ডুবে যাচ্ছে।’ রায় পাল্টাতে আওয়ামী লীগের দৌঁড়ঝাপ : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘অলিম্পিক প্রতিযোগিতার ন্যায় দৌড়ঝাঁপ’ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী। রায় নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে ন্যায়বিচারের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার অশুভ অপচেষ্টারই অংশ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে জোর করে রায় পাল্টিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তা বিচারবিভাগের স্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক হতেই পারে, কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক কিভাবে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন? তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার কী তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ব্যবহার করছেন?”, বলেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের দলের সিদ্ধান্ত তাকে জানাতে যাওয়া ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করা, এটি রায়ে পরিবর্তন আনতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্বাহী বিভাগের নগ্ন হস্তক্ষেপ।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ আগস্ট ২০১৭/রেজা/সাইফ