রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, এ হত্যাকাণ্ড দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি জেগে উঠেছিল এবং বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। সংবিধানের মূলনীতি মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। এসবের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড কোনো ব্যক্তি বা শুধু একটি পরিবারকে নিয়ে নয়, এ হত্যাকাণ্ড ছিল গোটা বাঙালি জাতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকেও একই কারণে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আজো থেমে নেই। ষড়যন্ত্র চলছেই। বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার অপচেষ্টা চলছে। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আদালতের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার ক্ষমতা কারোর নেই। বঙ্গবন্ধুকে কেউ ছোট করতে চাইলে তিনি নিজেই ছোট হয়ে যাবেন।  স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, সেই চক্র আজও সক্রিয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগকে স্মরণ করে নিজ নিজ দায়িত্ব কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করলেই জাতির পিতার প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএমএ এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ আগস্ট ২০১৭/সাওন/সাইফ