রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ২৯২১ আইনজীবীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায় ও বেআইনিভাবে’ সাজা দেওয়া হয়েছে দাবি করে তার মুক্তি চেয়েছেন ঢাকা বারের আইনজীবীরা। একইসঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ‘প্রথম শ্রেণির ডিভিশন পাওয়ার হকদার’ বলে মনে করেন তারা। রোববার ২ হাজার ৯২১ জন আইনজীবী বিবৃতি পাঠিয়ে বিএনপি নেত্রীকে নির্দোষ দাবি করেন। তারা বলেন, ‘ডকুমেন্টস অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কোনো তথ্য ও অভিযোগ প্রমাণ হয় নাই। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট এবং এই ট্রাস্টে সেটেলার এবং অন্য কোনো ট্রাস্টের সদস্য অনিয়ম করলে ট্রাস্ট আইনের বিধান অনুযায়ী দণ্ডবিধি ৪০৬ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো সদস্য নন বেগম খালেদা জিয়া।’ দুদক মামলা প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে আইনজীবীরা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কোনো টাকা আত্মসাৎ করেন নাই এবং কোনো টাকা আত্মসাৎ হয় নাই। অন্যায় ও বেআইনিভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যিনি মামলা দায়ের করেছেন তিনি নিজেই বলেছেন আত্মসাৎ হয় নাই।’ ‘সেখানে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ শুধু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে এবং বিএনপির চেয়ারপারসন হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সাজা দেওয়া হয়েছে যা বাতিল হইতে বাধ্য।’ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘যেহেতু বাদীপক্ষ মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাই বেগম জিয়া খালাস পাওয়ার কথা। কিন্তু তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। জেল কোডের বিধান অনুযায়ী বেগম খালেজা জিয়া বন্দির শ্রেণি বিন্যাস অনুযায়ী মহিলা বন্দি সামাজিক মর্যাদায় ও ভালো চরিত্রের অধিকারীসহ অন্যান্য যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন পাওয়ার হকদার।’ ‘তা ছাড়া জেল কোডের ৬১৭ ধারা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া প্রথম শ্রেণির ডিভিশন পাওয়ার হকদার। যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, চলাফেরা করতে অসুবিধা হয় সেই কারণে জেল কোডের ৩৭ ধারা অনুযায়ী উক্ত ধারার সুবিধা পাওয়ার হকদার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া বন্দি হিসেবে সকল সুবিধা পাওয়ার হকদার।’ বিবৃতি দেওয়া আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন মো. খোরশেদ আলম, মো. সানাউল্লাহ মিয়া, এম মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. মহসিন মিয়া, মো. আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু, মো. ইকবাল হোসেন, মো. খোরশেদ মিয়া-আলম, মো. মোসলেহ্ উদ্দিন (জসিম),মো. ওমর ফারুক (ফারুকী), মো. রুহুল আমিন, আফরোজা বেগম (শেলী),মো. শাহজাহান কবীর, এ কে এম সোহরাব, আলহাজ্ব মল্লিক সফি উদ্দিন আহমেদ, মো. রেজাউল করিম (নিজাম), কাজী মো. আব্দুল বারিক, মো. এখলাসুর রহমান, মো. জহির রায়হান জসিম, মো. হারুন রশীদ খান, এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান (ওয়ালী), ফকির আব্দুল মান্নান (২), এস কে আব্দুল মালেক, সরদার আবদুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম লুৎফুল কবীর, মো. এমদাদুল হক, মো. আবু ইউসুফ সরকার, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান (হাফিজ), মো. সারোয়ার কায়ছার (রাহাত), মোহাম্মদ জালাল আহাম্মদ দোলন, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান রঞ্জু, সৈয়দ হুমায়ুন, মো. এমরানুল হাসান মজুমদার, এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ্, মো. আবুল কালাম আজাদ, ইসমাইল ফকির, মো. আমিনুল ইসলাম, সুফিয়া আক্তার হেলেন, মাইন উদ্দীন আহম্মেদ সেলিম, লিপি আক্তার, মো. জামাল উদ্দিন খন্দকার, মো. শোয়াইব মিয়া (শোয়েব), আহাম্মদ উল্লাহ (আমান), মো. মাজেদুর রহমান (মামুন), মো. নিজামুল হক, মো. শামসুল হক, খাদিজা বেগম হেলেন, সৈয়দ শামীম আহসান হাবিব শামীম, জাহানারা বেগম, সাবিনা ইয়াসমীন চৌধুরী বীনা, মো. সাইফুর রশীদ সবুজ, শাহিন হক বিউটি, তাবাসসুম রিফাত টুম্পা, সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী, রাফিজা আলম (লাকী) প্রমুখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রেজা/সাইফুল