রাজনীতি

এরশাদের কোটি টাকার মহাসমাবেশ শনিবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : শনিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মহাধুমধামের এই মহাসমাবেশ থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন জোটের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীনেতা রওশন এরশাদসহ জোটের শীর্ষনেতারা। ইতোমধ্যে মহাসমাবেশ সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মহাসমাবেশের জন্য ৮০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থ মূলমঞ্চের পাশাপাশি আরো দুটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী, জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশনকারীদের জন্য করা হয়েছে আলাদা মঞ্চ। করা হয়েছে শতাধিক টয়লেট। সমাবেশে তৃষ্ণার্তদের পানির ব্যবস্থাও থাকছে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মৎস্য ভবন এলাকা নতুন সাজে সজ্জিত। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীনেতা রওশন এরশাদ, জাপা মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাপা দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান ও মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন, মহিলা পার্টির সভানেত্রী সালমা ইসলাম ও সেক্রেটারি অনন্যা হোসেন মৌসুমী, এরশাদের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, তাজ রহমান, মশিউর রহমান রাঙ্গা, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু, যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল, আশরাফ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নেতা সুজনদে, শেখ মাসুক, শ্রমিক পার্টির সভাপতি আশরাফুল সিদ্দিকী, যুবসংহতির আলমগীর সিকদার লোটনসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে মৎস্য ভবন, শাহবাগ পর্যন্ত বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। রাজধানীর প্রায় সব ফ্লাইওভারে এরশাদের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা রাতেই এসে পৌঁছেছেন। বাকিরা শনিবার সকালের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে পৌঁছাবেন। মহাসমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিভিন্ন রংয়ের ক্যাপ, গেঞ্জি পরিধান করে লাঙল নিয়ে বাদ্যবাজনা সহকারে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছাবেন। যোগ দেবেন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও। এক রঙের শাড়ি পড়ে সমাবেশে আসবেন মহিলা পার্টির নেতা-কর্মীরা। বর্তমান এমপি ও সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মী নিয়ে আসবেন মহাসমাবেশে। জাপা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি জানান, তার নির্বাচনী এলাকা থেকে পৃথক রংয়ের গেঞ্জি, ক্যাপ পড়ে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে আসবেন। মহাসমাবেশ ঢাকা দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করবে রাজধানী ঢাকা এরশাদের ঘাঁটি। তিনি সকলকে মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান। জাপা মহানগর উত্তর সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর থেকে ২০ হাজার নেতা-কর্মী সমাগমের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তারা সাদা রংয়ের ক্যাপ পড়ে মাঠে থাকবেন। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই সমাবেশে যোগ দেবেন বলে তিনি জানান। শুক্রবার বিকেলে মহাসমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি ও মঞ্চ পরিদর্শন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ সময় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ সফল করতে শুক্রবার বিকেলে জাপা কাকরাইল কার্যালয়ে সর্বশেষ প্রস্ততি সভা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টি। এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি। সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। সমাবেশ সফল করতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি বিকেলে কাকরাইল থেকে বের করে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল। মিছিলে সংগঠনের আহ্বায়ক লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মার্চ ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফুল