রাজনীতি

ঈদে কারাগারে স্বজন‌দের কাছে পেয়ে আপ্লুত খা‌লেদা

জ্যেষ্ঠ প্র‌তি‌বেদক : ঈদে দীর্ঘ‌দিন পর কারাগা‌রে স্বজন‌দের কা‌ছে পে‌য়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপির চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া। ঈদের দিন শনিবার খালেদা জিয়া স্বজনদের রান্না করা খাবার খান। এর আগে একাধিকবার স্বজনরা খাবার নিয়ে গেলেও কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী তা খেতে পারেননি তিনি। শ‌নিবার বেলা সোয়া ২টায় খালেদা জিয়ার প্রয়াত ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার ও তার ছেলে শামস ইস্কান্দার, শাফিন ইস্কান্দার; ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক ইস্কান্দার, এরিক ইস্কান্দার; ভাগ্নি অরনি ইস্কান্দার, অনন্যা ইস্কান্দার, শাফিয়া ইসলাম, ভাগ্নে সাজিদ ইসলাম, মো. মেহরাব ও মো. আল মামুন কারাগারে প্র‌বেশ ক‌রেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু, তার স্বামী শফিউজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র গৃহকর্মী ও গাড়িচালকসহ মোট ২০ জন। সবাই বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কারাফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন। স্বজনরা জানান, খালেদা জিয়া ঈদের দিনে যেসব খাবার পছন্দ করেন, সেগুলো তারা রান্না করে এনেছেন। তিনি সবার কুশল জানতে চান এবং ধৈর্য্য ধরতে বলেন। ২০০৭ সালে এক-এগারোর সময়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার হয়ে বিশেষ কারাগারে ঈদ কেটেছে খালেদা জিয়ার। এক দশক পর আবারও কারাগারে ঈদ কাটল প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রীর। আগের বছর লন্ডনে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগারে আটক থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এর মধ্যে ২০০৭ সালের দুটি ঈদ কারাগারে কেটেছে তার। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনে সেটিই ছিল কারাগারে প্রথম ঈদ। এবার দ্বিতীয় দফায় কারাগারে ঈদ কাটল বিএনপির চেয়ারপারসনের।

       

রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/১৬ জুন ২০১৮/‌রেজা/রফিক