রাজনীতি

ইভিএম মুক্ত ভোট চায় বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। ইভিএম ব্যবহার ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থি হবে’ দাবি করে দলটি বলছে, ‘তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম স্থানীয়ভাবে কেনা ও আমদানি করা দুরভিসন্ধিমূলক, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চক্রান্তের পথে অগ্রসর হওয়ার অংশ।’ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের এই বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহারের ত্রুটি তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘এরপরেও কে এম নুরুল হুদা কমিশন বর্তমানে নতুন উদ্যোমে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ইভিএম আমদানি করছে আগামী জাতীয় ও স্থানীয় সব নির্বাচনের জন্য। ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে-আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় পরিসরে ইভিএমে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে আড়াই হাজার ইভিএম মেশিন কেনা হয়েছে, বাকি মেশিন কেনার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে।’ ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের আপত্তির পরেও তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম স্থানীয়ভাবে কেনা ও আমদানি করা দুরভিসন্ধিমূলক, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চক্রান্তের পথে অগ্রসর হওয়ার অংশ। এই বিতর্কিত মেশিন নিয়ে কমিশনের কেন এতো তোড়জোড় সেজন্য জনমনে গভীর সংশয় দানা বেঁধেছে’, বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনগুলো নিয়ে সফট ওয়ার প্রোগামাররা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনগুলো বিদ্বেষমূলক প্রোগ্রামিংয়ের জন্য এবং যেকোনো মুহূর্তে হ্যাকাররা মেশিনটিকে হ্যাক করে ভোট গণনাকে খুব সহজেই টেম্পারিং করতে পারে। যদি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে ব্যালট পেপারে ভোট গণনা সময় সাপেক্ষ বিষয় হলেও মানুষের এর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা আছে।’ জার্মানি, আমেরিকা, ভারতসহ বিভিন্ দেশে ইভিএম মেশিন নিয়ে বিতর্কের তথ্য জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার এই অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত মেশিন ক্রয়ের ও ব্যবহারের জন্য কেন এত উন্মুখ তা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ইভিএম চালুর মাধ্যমে আরেকটি বড় ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পথে এগুচ্ছে। ‘যেহেতু তাদের জনপ্রিয়তা নেই, সেজন্য তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা ফন্দিফিকির শুরু করেছে। ইভিএম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থি। বাংলাদেশের ভোটাররা ইভিএম মানতে নারাজ। ভোটাধিকার হরণে এই পদ্ধতির ব্যবহার চুপিসারে ডিজিটাল অন্তর্ঘাত।’ জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জোর দাবি করেন।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুলাই ২০১৮/রেজা/সাইফ