রাজনীতি

সড়কে নৈরাজ্যের জন্যে দায়ী সেতু মন্ত্রণালয় : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সড়কে দুর্ঘটনা ও নৈরাজ্যের জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং এর দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীকে দায়ী করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সড়কে নৈরাজ্যের জন্যে দায়ী সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়। টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়া, আনফিট গাড়িকে ছাড়পত্র দেওয়া, রাস্তাঘাটের ভয়াবহ দুর্দশা, রাস্তা মেরামতে লুটপাটে কাজ না হওয়া ইত্যাদি সর্বব্যাপী দুর্নীতির জন্য দায়ী সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় ও সরকার।’ সড়কে অব্যবস্থাপনার জন্যই ঈদে ঘরমুখি মানুষ ট্রেনের প্রতি ঝুঁকছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেতুমন্ত্রী যদি সফলই হতেন তাহলে মানুষ ট্রেনের দিকে ঝুঁকছে কেন?’ নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরে অরাজকতার দায়ী নৌমন্ত্রীসহ এ সেক্টরের গডফাদাররা মাফ পেয়ে যান আর শিক্ষার্থীরা ন্যায়ের আন্দোলনের জন্য সরকারি জুলুমের শিকার হন। যে নির্দোষ শিক্ষার্থীরা ব্যতিক্রমধর্মী এবং সকলের চোখ খুলে দেওয়ার মতো আন্দোলন করে মানুষের বিবেককে জাগিয়েছে তারাই এখন রিমান্ড ভোগ করছে।’ পরিবহনখাতে বিশৃঙ্খলা আরও বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকালও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে একটি বেপরোয়া বাস, যার চালক ছিল হেলপার। আন্দোলন দমানোর নামে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন বেপরোয়া চালকদের আরও বেশি বেপারোয়া করেছে। সড়কে নৈরাজ্য আর ভোগান্তি আরও বেড়েছে। কারণ, পরিবহন সেক্টরের হঠকারী ও অবিমৃশ্যকারিতার জনক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এখনও নির্লজ্জভাবে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘লেখক, বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট, রাইট্স গ্রুপ, মুক্ত চিন্তার মানুষদের মাথার উপরে ৫৭ ধারার তরবারি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আর এই কালো আইনের ৫৭ ধারার নির্মম প্রয়োগে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার ড. শহিদুল আলমকে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ আগস্ট ২০১৮/রেজা/শাহনেওয়াজ