রাজনীতি

মামলায় বিএনপির উদ্বেগ

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার ‘ভৌতিক মামলা’ দেওয়ার মাধ‌্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তোলা হচ্ছে বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসব মামলায় উদ্বেগ জানিয়ে তিনি সরকারকে আলাপ-আলোচনার মাধ‌্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, সারা দেশে হাজার হাজার ভৌতিক মামলা ও গণহারে গ্রেপ্তারের ঘটনা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সরকার নির্বাচনকে নিজদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সবকিছু নিজেদের মতো করে সাজাচ্ছে অন্যদিকে বিরোধীদলের এমনকি বিরোধীমত পোষণ করেন এমন অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা ও তাদের বাসা–বাড়িতে তল্লাশি চালানোর মতো ঘটনা ঘটিয়ে চলছেন। ‘এভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার করে গোটা নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তোলা হচ্ছে। সরকারের উচিত সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া। অন্যথায় জাতি তাদের ক্ষমা করবে না, একদিন বিচার হবেই। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এই ধরনের মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার পরিসংখ‌্যান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল জানান, ৩ হাজার ৭৩৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। তিন লাখ ১৩ হাজার ৩৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত হিসেবে দুই লাখ ৩৩ হাজার ৭৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিন হাজার ৬৯০ জন। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। কারা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন খালেদা জিয়া হাঁটার মতো উপযুক্ত নন। তাদের প্রতিবেদনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়েছে।’ বিএনপি নেত্রীর মামলার বিচারকাজ পরিচালনা নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহে পরপর তিন দিন তারিখ দেওয়া হয়েছে, কেন? সরকারের তাড়াহুড়োর কারণ বোঝা যায়। সরকার চায় যত দ্রুত খালেদা জিয়াকে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু আদালতের কারণে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না।’ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হেসেন, মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরী অ্যানি উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮/রেজা/সাইফ