রাজনীতি

‘বিজয়ীর আচরণ যেন কারো বিরক্তির কারণ না হয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কাঁধে দায়িত্ব এলে বিনয়ী ও নম্র হতে হয়। বিজয়ীর আচরণ যেন কারো বিরক্তির কারণ না হয়। বিজয়ের পর যেভাবে আমরা নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলেছি, তা বজায় রাখতে হবে। মানুষ যেন আমাদের ভালোবাসে, আবারো দায়িত্ব দেয়, সেজন্য আমাদের দায়িত্ববান হতে হবে।’ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় উদযাপনের লক্ষ্যে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য বিজয় সমাবেশ উপলক্ষে এ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের শনিবারের সমাবেশ বিজয় সমাবেশ, উৎসব নয়। সমাবেশ বর্ণিল কিন্তু সুশৃঙ্খল হবে। নেত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়া পর্যন্ত সবাই উপস্থিত থাকব। দেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের বর্ণনা দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান থেকে এ দেশের ফ্লাইওভার আর গগনচুম্বী অট্টালিকা দেখে ইউরোপের মতো মনে হয়। হাতিরঝিলের সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেয় প্যারিসের কথা। গ্রামে আর কুঁড়েঘর পাওয়া যায় না। হারিকেন আজ স্মৃতির অংশ। শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে এ দেশ আজ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।' তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিজয় যেমন বিশাল, প্রতিপক্ষের পরাজয়ও তেমন ধস নামানো। আর এমন ধসে যাওয়া পরাজয়ের পর মুখরক্ষার জন্যই সংলাপের দাবি তাদের। মুখ থুবড়ে পড়া বিএনপি-জামায়াতের পরাজিত নেতারা যখন আইসিইউতে, তখন টিআইবি তাদের অক্সিজেনের ভূমিকা নিয়েছে, এ কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টিআইবি নির্বাচন পর্যবেক্ষকও ছিল না। যারা পর্যবেক্ষক ছিল, তারা বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু। আর পর্যবেক্ষক না হয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে বিএনপি-জামাতের কথার প্রতিধ্বনি করছে টিআইবি।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জানুয়ারি ২০১৯/নঈমুদ্দীন/রফিক