রাজনীতি

মানবিক বিবেচনায় হলেও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমি কোনো দাবি দিতে চাই না। বর্তমান সরকার প্রধান একজন নারী এবং আরেকজন তিন বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, তিনিও নারী। মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে হলেও বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া উচিত। তার বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সেগুলো চলতে পারে। কিন্তু তার জামিনের ব্যবস্থা করা হোক এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাসহ সকল বন্দিদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। জয়নুল আবদিন বলেন, আমি বুঝতে পারি না, এই সরকারের কাছে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কতটা হবে। বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, অনেকদিন পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দাঁড়িয়েছি। আমি বুঝতে পারি না, আমার বোঝার হয়তো কিছুটা ভুল হতে পারে। জাতীয়তাবাদী দল একটি বৃহত্তম দল। যে দলের নেত্রী জেলে থাকা অবস্থায় বর্তমান সরকারের কথায় বিশ্বাস রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। সেই ঐক্যফ্রন্ট অর্থাৎ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপির একজন প্রার্থী আমি ছিলাম। বিগত দিনগুলোতে আমি কয়েকবার ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেও কয়েকবার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছি ধানের শীষের কারণে। কোনো দলীয় সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না বলে জয়নুল আবদিন বলেন, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও এই ঘটনাই ঘটেছে। গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমার দল অংশগ্রহণ করে নাই। সেই নির্বাচনও ভোটারবিহীন নির্বাচন ও পাঁচটি বছর অতিক্রম করেছে। আবার ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন সে নির্বাচনের জন্য দায়ী এই নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ, বিজিবি ছিল, তাহলে কী করে দিনের বেলার ভোট রাতের বেলায় করলেন-এই বিষয়টা একটা তদন্তে আনা উচিত। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার কাছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে কি কোনো লাভ আছে? তার কাছে মুক্তি চেয়ে কোনো লাভ হবে না, কারণ বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়া হয়েছে এই কারণে যে যাতে বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, নির্বাচনে জয় লাভ না করতে পারে এবং জনগণের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে। তাই এখন আমাদের আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ভাষানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুজ্জামান সদরদার প্রমুখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/নাসির/ইভা