রাজনীতি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি চলছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে কারচুপি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটাদের ভোট দিতে না দেওয়া, এজেন্টদের বের করে দেওয়া, প্রার্থী-কর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারসহ নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে গণশুনানি করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শোক প্রস্তাব : চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের স্মরণে গণশুনানিরে শুরুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় নিহতদের স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে তথাকথিত একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকার কারণে দেশে যা ইচ্ছা তাই করছে সরকার। তাকে কোনো কিছুর জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় না।’ সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের কারণে সময় কমিয়ে আনা হতে পারে বলে জানান মির্জা ফখরুল। গণশুনানিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিচারক না, কোনো বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নাই, কর্তব্যও নাই। শুনানি হচ্ছে গণশুনানি, জনগণের উদ্দেশ্যে এরা বক্তব্য রাখবেন। বিচার যেটা হচ্ছে সেটা ট্রাইব্যুনালে হবে। আর গণআদালত যেটা বলা হয় সেটার বিচার জনগণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এসেছি অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হোক, সেজন্য। যে বক্তব্যগুলো আসবে সেগুলো পরে প্রকাশ করা হবে। বই আকারেও প্রকাশ করা হবে। সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।’ ‘এই গণশুনানির মূল উদ্দেশ সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানোনো। সংবিধানে আছে এই দেশের জনগণ এই দেশের মালিক। ভোটাধিকার রক্ষা করার জন্য আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করে জয়ী হয়েছিলাম’, বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা। ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদে লেখা আছে জনগণ ক্ষমতার মালিক। এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইব্যুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছে। দলের নেতাদের ধারণা হলো নির্বাচনের পদ্ধতি কী ঘটেছে সেটা জনগণকে জানানো দরকার।’ গণশুনানিতে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এমাজ উদ্দীন আহমেদ, শিক্ষক দিলারা চৌধুরী, তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়া জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/রেজা/ইভা