রাজনীতি

রাজনীতিতে খুনের রাজত্ব কায়েম করেন জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধু খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, এই হত্যার যাতে বিচার না হয় সেই ব্যবস্থাও করেছিলেন।

শুক্রবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করেন। তিনি আদর্শের রাজনীতি ধ্বংস করে খুনের রাজত্ব কায়েম করেন।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই ১৫ আগস্টের খুনিদের মদদ দিয়েছে। যেভাবে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন সেভাবে খালেদা জিয়াও পুনর্বাসন করেছেন। এরশাদও খুনিদের মদদ দিয়েছেন, পুরস্কৃত করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ডালিমসহ অন্য খুনীদের যখন বিদেশে পাঠানো হলো, অনেক দেশ তাদের গ্রহণ করেনি। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সপক্ষে ছিল, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কূটনীতিক হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।’

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু বঙ্গবন্ধু অবিনশ্বর। তিনি আজ জীবন্ত ইতিহাস। তিনি বেঁচে আছেন, বাঙ্গালির হৃদয়ে, বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের মনে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে তো বটেই সারাবিশ্বে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘৃণিত, নিন্দিত। রাজনৈতিক ইতিহাসে নিষ্ঠুর, নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ। ১৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা নয়। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাসকে একেবারে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়।’

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ আগস্ট ২০১৯/রেজা/সাজেদ