আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোতে সম্মেলন করতে আগামী শনিবার থেকে ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। তৃণমূলের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘সুবিধাজনক সময়ে’ সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
বুধবার রাজধানীর ধান্ডমণ্ডীতে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। দলের আগামী জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে করণীয় ঠিক করতে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলনের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তৃণমূলের এই সম্মেলনগুলোর প্রস্তুতি কার্যক্রম চলবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির নেতারা সমন্বয় করে সুবিধাজনক সময়ে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করবেন।
গত তিন বছরে যে সম্মেলনগুলো করা হয় নি, তিন মাসে সেগুলো সম্ভব কি না সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তিন বছর আগে অনেক সম্মেলন হয়েছে, তখন কমিটি হয়নি। গত তিন বছরে আমরা কমিটিগুলো দিয়েছি। কুমিল্লা মহানগরের কমিটি দেওয়া হয়েছে ২২ বছর পর, নারায়ণগঞ্জের কমিটি দেওয়া হয়েছে ১৮ বছর পর।’
‘তিন বছরে অনেকগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ছিলো। আমরা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করবো, সেভাবে অগ্রসর হচ্ছি” বলেন আওয়াম লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ডিসেম্বরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন কিভাবে হবে-এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডিসেম্বরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন না, ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা সেভাবে চিন্তা-ভাবনা করেই দলের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছি।’
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি প্রমুখ। ঢাকা/রেজা/সাজেদ