রাজনীতি

‘বেসরকারি কারো পক্ষে সরকারি কারো বিচার সম্ভব না’

শহীদ ডাক্তার মিলনের মা সেলিনা আক্তার বলেছেন, আমরা আজ খুবই মর্মাহত। ডাক্তার মিলন হত্যার বিচার চাচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, ডাক্তার মিলন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তার জীবন আত্মাহুতি দিয়েছেন। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তিনি তার জীবন দিয়েছেন। আমরা আজও তার হত্যাকারীদের বিচার পাইনি। বরং হত্যাকারীদের সংসদে নিয়ে বসানো হয়েছে। সমাজ রাষ্ট্র সবার কাছে তাদেরকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই আজকে আমি বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ বেসরকারি কারো পক্ষে সরকারি কারো বিচার আদৌ সম্ভব নয়।

বুধবার ভোরে ডাক্তার মিলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন মিলন চত্বরে এক সভায় ডাক্তার মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মিলনের আকাঙ্ক্ষা আজও পূর্ণ হয়নি। গণতন্ত্রের জন্য আজও মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। ভোটাধিকারের জন্য মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। রাজনীতি আজ রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। সেটি চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। সেখানে তো টাকার খেলা চলবেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমরা আজ অতিষ্ঠ।  

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খলীকুজ্জমান বলেন, আজকে একটা লজ্জাজনক অধ্যায় পার করছি আমরা। জনগণ যাদেরকে পরাস্ত করে, সরকার তাদের পুনর্বাসিত করে। আমরা দেখেছি একাত্তরের ঘাতকদের পুনর্বাসিত করেছে। তেমনি ভাবে স্বৈরাচারদেরও পুনর্বাসিত করেছে সরকার।

তিনি বলেন, আজকে নূরকে বলছে ইয়াবাখোর। বিভিন্ন রকম বিতর্ক তৈরি করছে ক্ষমতার মসনদে থাকা নেতারা। যারা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী তারাই মিলনকে আঁকড়ে ধরে রাখবেন তাদেরকে অভিবাদন। যারা স্বৈরাচারদের পুনর্বাসিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের পরাস্ত করতে হবে। তবেই ডাক্তার মিলনের আত্মা শান্তি পাবে, তার লক্ষ্য অর্জিত হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য ডাক্তার মিলন জীবন দিয়েছিলেন। তিনি স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু আজকে মানুষের ন্যূনতম ভোটাধিকারটুকু পর্যন্ত নেই। দেশে গজবের মত স্বৈরতন্ত্র চেপে বসে আছে। সকলকে গণতন্ত্রে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা/ইয়ামিন/জেনিস