প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি।
শনিবার রাজধানীর গৌরীয় মঠে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোন পথে’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সার্ক কালচারাল সোসাইটি।
বাবলা এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সঙ্গে আমাদের যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে গিয়েছিলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর সে সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। আমাদের প্রয়াত নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে ক্ষমতায় এসে সেই সম্পর্ক আবার জোড়া লাগান। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সে সম্পর্ককে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে সে সম্পর্কের ভিত আরো মজবুত হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক ও বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা রন্তীদেব সেনগুপ্ত, ভারত সরকারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বিজেপির নেতা ডা. অর্চণা মজুমদার, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুকুল বোস, কলকাতার দৈনিক আজকালের প্রধান প্রতিবদেক তরুণ চক্রবর্ত্তী, ভোরের ডাকের সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, সার্ক কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সুজন দে, কার্যকরী সভাপতি এ টি এম মমতাজুল করীম, নকুল চন্দ্র সাহা, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক, জাপা নেতা শরিফউদ্দিন আহম্মেদ শিপু, জুবের আলম খান রবিন, শেখ মাসুক রহমান ও সার্ক কালচারাল সোসাইটির লায়ন মেহেদী হাসান প্রমুখ।
রন্তীদেব সেনগুপ্ত বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। যেকোনো মূল্যে আমরা সে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।
অর্চণা মজুমদার বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ আমি। ভারত সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, ভারতে সরকার কখনো এমন কিছু করবে না, যাতে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আমাদের মধ্যে চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ব্যাহত হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নীতিতে বিশ্বাসী। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে। ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক